জামিনের জন্য হাই কোর্টে আবেদন অনুব্রতর
নিউজ ডেস্ক::একদিন দু’দিন নয়,টানা আড়াই মাস জেলে গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মন্ডল।সিবিআই এর অভিযোগ গোরু পাচারের বিস্তর টাকা অনুব্রতর একাউন্টে ঢুকেছে।এদিকে ইডি তদন্তভার হাতে নিয়ে দেখে অনুব্রত একাধিক লটারির টিকিট পেয়েছে।স্বাভাবিক কারণেই এতো বিস্তর টাকার উৎস নিয়ে ইডি অনুব্রতকে জেরা করার পরে গ্রেফতার করে।সব মিলিয়ে অনুব্রত অথৈ জলে।
লটারি সহ একাধিক অভিযোগে কার্যত জেরবার তিনি। বীরভূমের বেতাজ বাদশা কেষ্ট মণ্ডল এখন সিবিআই ও ইডি-র সাঁড়াশি চাপে রয়েছে। তাঁকে তদন্তের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত।
২৫ নভেম্বর ফের একবার আসানসোল সিবিআই আদালতে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ফলে আপাতত জেল থেকে বেরতে পারছেন না তিনি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়ল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, সিবিআই বারবার দাবি করেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। গরু পাচার মামলার তদন্তে দেশ জুড়ে চলছে, আর এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে অনুব্রতর দল অনুব্রতর উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে তাকে বীরভূমের সভাপতি পদে বহাল রেখেছে।