সেক্সটরেশনের ফাঁদে ফেলতে চেয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক আসিত মজুমদারকে
নিউজ ডেস্ক::চারিদিকে ফাঁদের পর ফাঁদ।কখন যে কাকে কে কোন ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে,তা বোঝা মুশকিল।যেমন সম্প্রতি তৃণমূলের দুর্দান্ত প্রতাপ চুঁচুড়ার বিধায়ক আসিত মজুমদার নিজের বুদ্ধির বলে সেই চক্র থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে তার মোবাইলে একটা অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল আসে।
তিনি কলটা রিসিভ করে নিয়েছিলেন।
মি. মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “কলটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্তে এক নারীর ভিডিও দেখা যায় যিনি তার পোষাক খুলছিলেন। মুহুর্তেই বুঝে যাই যে এটা একটা ফাঁদ। কলটা কেটে দিই।“
সেদিন পর পর বেশ কয়েকবার ওই একই নম্বর থেকে ভিডিও কল আসে, আর ধরেন নি তিনি।
পরের দিন অন্য একটা নম্বর থেকে ফোন আসে। বলা হয় দিল্লি পুলিশ থেকে ফোন করা হচ্ছে এবং তাদের কাছে মি. মজুমদারেরর সেক্স চ্যাটের ভিডিও আছে, যেটা তারা ভাইরাল করে দেবেন।
“আমি তাদের নম্রভাবেই বলি যে হোয়াটস্অ্যাপে কল না করে সাধারণ কল করুন। তারা বারে বারে একই হুমকি দিতে থাকে। তখন আমি বলি, যিনি ফোনটা করছেন, তিনি যে পুলিশ অফিসার নন, সেটা আমি বুঝে গেছি, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে লাভ হবে না,” সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মি. মজুমদার।
কল ডিটেলস তিনি পুলিশের
হাতে তুলে দেন।
এই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন,সাইবার ক্রাইম দপ্তরের একজন বিশেষজ্ঞ।তিনি বলেছেন,যেহেতু আপনি ভিডিও কল রিসিভ করেছেন, তাই আপনার মুখটাও অপর প্রান্তে দেখা যাচ্ছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেও আপনি যদি কলটা কেটে দেন, অন্য প্রান্তে কাজ হাসিল হয়ে গেছে,” বলছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ সরকারী কৌঁসুলি বিভাস চ্যাটার্জী।
মিস্টার . চ্যাটার্জীর কথায়, “যিনি কলটা রিসিভ করলেন, তার মুখ তো চলে এল। আর অন্যদিকে তো পর্ন ভিডিওর অভিনেত্রী আছেন। এই দুটোকে এডিট করে একটা এমএমএস বানাচ্ছে যা দেখে মনে হবে সত্যিই ওই ব্যক্তি অশ্লীল ভিডিও চ্যাট করছিলেন। তারপর সেটা এই ব্যক্তিকে পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে টাকা না দিলে এই ভিডিও পরিবার, বন্ধু, অফিসের সহকর্মীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে।“
আর কেউ যদি একবার ওদের হাতে টাকা তুলে দেয়,তাহলে ওদের কবল থেকে বাঁচার উপয় নেই।তাই মিস্টার চ্যাটার্জির পরামর্শ,খুব পরিচিত নম্বর ছাড়া কোনো ভিডিও কল কখনো রিসিভ করবেন না।এটা হলো উন্নত প্রযুক্তির ফাঁদ।