রাজনৈতিক খুনের পর আগরতলা পশ্চিম থানায় সর্বদলীয় বৈঠক পুলিশের
নিউজ ডেস্ক::একটা রাজনৈতিক খুনের পর আগরতলা পশ্চিম থানায় সর্বদলীয় বৈঠকে বসল পুলিশ। ভোটের মুখে হিংসা এরাতেই এই বৈঠক।
তবে হাসপাতাল থেকে লাশ গায়েব হবার পর পুলিশকে পাচাটা দালাল তকমা দিয়েছিল শহর। এতে নাকি খুব কস্ট পেয়েছেন। এমন ভাষার ব্যাবহার হলে কিছুই করার নেই বলেও দাবী SDPO সাহেবের।
ইস কি কস্ট আজ। ভোটের মুখে কি অসহায়। নইলে প্রথম প্রথম তো কিছু বললেই বা কিছু লিখলেই সোজা জেল। এখয় স্বপ্ন থাকলেও জেল তো দূর স্পর্শ করার ক্ষমতা টুকুও নেই। তাই ভাষার সৌজন্যতার কথা মনে পরল সেই দলদাস পুলিশেরই। বিপ্লবকে চোর বললে যেমন রেগে যায়, তেমনি দালাল বলায় হাসিমুখে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো পুলিশ।
দালাল তকমা পাবার পর পুলিশের এও দাবী দালাল ই তো সিকিউরিটি দিচ্ছে দিন রাত। অবশ্য পুলিশ এটা স্বীকার করেছেন ভাষা নিয়ন্ত্রন করার অধিকার এবং ক্ষমতা পুলিশের নেই। এই শহর আগরতলা ভাল কাজ করলে যেমন শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিতে কার্পণ্য করেনা তেমনি শাসকের পা চেটে যা ইচ্ছা তাই করলে দালাল তকমা দিতেও ভুলে যায়না।
অবশ্য এদিনের পশ্চিম থানায় বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভোটের মুখে শাসকের মার খেয়ে চুপ কিভাবে থাকতে হবে তার ট্রেনিং দেওয়া। এবং পুলিশ বিরোধী দের গ্রেফতার করতে এলে চুপচাপ কোন পদ্ধুতিতে নীরবে গ্রেফতার বরন করতে হবে তার ব্যাখ্যাও দিলেন sdpo সাহেব।
২০১৮ সালের পর থেকে শুধুমাত্র লেখায় শব্দচয়ন এবং ভাষার প্রয়োগ নিয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬ সহ একাধিক ধারায় কমপক্ষে ৩০০ মামলা হয়েছে। গ্রেফতার প্রচুর। কিন্তু আজ অব্দি একটা মামলাও টেকেনি আদালতে। আইনের ভাষায় মামলা টেকেনি। বহু মামলার চার্জশিট এখনো দিতে পারেনি পুলিশ। এর পর এদের দালাল বললে কেউ কেউ কস্ট পেলেও সহ্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই।