সংযুক্তির পর প্রথম বড় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ।বিজেপি-কংগ্রেস-আপের ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা
নিউজ ডেস্ক::সকাল থেকে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নির্বাচন শুরু হয়েছে। দিল্লিতে পুরসভাগুলির সংযুক্তির পরে এটাই প্রথম বড় নির্বাচন। ২৫০ টি আসনে তিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হল বিজেপি, কংগ্রেস ও আপ। ৭ ডিসেম্বর এই ভোট গণনা করা হবে।
এদিন ভোটদানে অংশ নিচ্ছেন দিল্লির ২৫০ টি ওয়ার্ডের প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ। সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বুথে গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার আগে যাঁরা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাবেন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন। এদিন সকালে দিল্লির মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে সাধারণ সময়ের থেকে ২ ঘন্টা আগে।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তেরোশোর বেশি প্রার্থী। আপ ও বিজেপি যথাক্রমে দিল্লির রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এদিন ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪০ হাজার রাজ্য পুলিশ, ২০ হাজার হোমগার্ড, ৮ হাজার আধা সামরিক এবং রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে প্রায় ৭০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অনিল চৌধুরী এদিন ভোট দিতে গিয়ে দেখেন, তাঁর নাম তালিকায় নেই। তবে তাঁর স্ত্রী ভোট দিয়েছেন। তা ছাড়া দিল্লির ভোটার হিসেবে রথী-মহারথীদের অনেককেই সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা গিয়েছে।
গত আটবছরের বেশি সময় বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন থাকলেও গত ২৪ বছরে দিল্লিতে তারা সরকার গঠন করতে পারেনি। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটে জিতে দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করেছে। ২০১৫-র নির্বাচনে আপ দিল্লিতে ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬৭ টি আসন পায়। তার দুবছর পরে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৭২ টি আসনের মধ্যে ১৮১ টি আসন পায়। ৪৮ আসন নিয়ে আপ দ্বিতীয় স্থানে এবং ৩০ টি আসন নিয়ে কংগ্রেস তৃতীয়স্থান দখল করে।
একদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বস্তি এলাকায় পুনর্বাসনে ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তর করেন। প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন অমিত শাহ, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। অন্যদিকে আপও এই ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল অনেক আগে থেকে। মোদীর ডাবল ইঞ্জিন সরকার-এর মোকাবিলায় আপ কেজরিওয়ালের সরকার, কেজরিওয়ালের কর্পোরেটর স্লোগানের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে। প্রচারে বিজেপি আবাসনের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মণীশ সিসোদিয়া-সহ আপের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে প্রচার চালিয়েছে। প্রচারে কংগ্রেসও আপকে নিশানা করেছে। পাল্টা কেজরিওয়াল দাবি করেছেন বিজেপির সব অভিযোগ মিথ্যা। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তিনি করেছিলেন।