দুর্নীতির সমস্ত অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন ‘পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা মানেই যেন ঘুষ,তোলা আর কাটমানি।এটা আমাদের প্রাদেশিক লজ্জা।এই অভিযোগের একটা বড়ো অংশ যদি মিথ্যাও হয় তাহলেও যতটুকু সত্যি,সেটাই লজ্জার।
বেসরকারি বিএড কলেজগুলোকে প্রতিবছর পুনর্নবীকরণ করাতে হয়।এখানেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন।সেই বিষয়েই দুর্নীতির মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল শিক্ষামহলের অন্দরে। সেখানে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তাঁর সাফ দাবি, “আমার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এখন আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটালে, যেটা হতে পারে, পরের বার আমি নাও আসতে পারি। সেই চেষ্টা হচ্ছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, সেটি নিয়ে আমি কিছু বলব না। অনুমোদন থেকে শুরু করে পুনর্নবীকরণ, ছাত্র ভর্তি, সবটাই অনলাইনে হয়। অফলাইনের কোনও প্রশ্ন নেই। একটি পয়সাও নগদে লেনদেন হয় না। যা হয়, সেটির সঙ্গে সঙ্গে রশিদ দেওয়া হয়।” তাই সমস্ত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজের বাবার জীবন দর্শনের কথাও বলেন। বাবার পেশাগত জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমি একজন আর্মি অফিসারের মেয়ে। যিনি তাঁর সারা জীবন দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন। আমার শ্বশুরমশাইও অর্থনীতির লোক ছিলেন এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল ছিলেন। আমি তাঁদের পরম্পরাটাই বহন করছি।” যদিও মামলাকারী অভিযোগ করেছেন যে নবীকরণ করাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে,অনেক কলেজের অনুমোদন সহজে হচ্ছে।কিন্তু যারা ঘুষ দিচ্ছে না তাদের অনুমোদন হচ্ছে না।
সোমা দেবী সমস্ত অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ।
বলেছেন,রবীন্দ্রনাথ যখন নোবেল পান,তখন তাঁর বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল।তিনি তখন লিখেছিলেন , ‘ এ মনিহার আমার নাহি সাজে।’ তবে আমি সরে আসর মানুষ না।এর শেষ দেখে ছাড়ব।