‘ অর্জুন ভীষণ অন্তর্মুখী ‘ – মিমি
নিউজ ডেস্ক::মিমি চক্রবর্তী এখন বেশ সংবাদের শিরোনামে থাকে সব সময়।কোনো না কোনো কারণে তা ইন্ডাস্ট্রির হোক বা রাজনীতির – মিমি সংবাদে আছে।
সম্প্রতি অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘খেলা যখন’ সিনেমা প্রকাশ পায়।এই ছবি মিমি কেন্দ্রিক।তবে নায়কের ভূমিকায় অর্জুন।বহুদিন পর ‘গানের ওপারে’ খ্যাত জুটির দেখা মিলল বড় পর্দায়। কিন্তু কিছু সংবাদমাধ্যম ‘খেলা যখন’-এর রিভিউ-এর পরিবর্তে মিমির বলা কিছু কথা নিয়ে শিরোনাম বানাতে ব্যস্ত। তাদের বক্তব্য, মিমি নাকি তাঁর সহ-অভিনেতা অর্জুনকে যা নয় তাই বলে অপমান করেছেন। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই ছিল অত্যন্ত সাধারণ।
মিমি খুব অন্তরঙ্গ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল,অর্জুন বেশ অন্তর্মুখী।অথচ পর্দায় কিন্তু তাঁদের রসায়ন দেখে তা বোঝা মুশকিল। অর্জুনকে মিমি বলেছিলেন, তাঁর কি মিমির সাথে কথা বলতে কোনো সমস্যা রয়েছে। প্রায় সাথে সাথেই অর্জুন বলেন, তাঁর কোনো সমস্যাই নেই। এরপর আউটডোর শুটিংয়ে গেলে কখনও সখনও মিমির সাথে আড্ডা দিয়েছেন অর্জুন। বাস্তবে এই ধরনের বহু মানুষ আছেন যাঁদের মধ্যে যথেষ্ট ভদ্রতা রয়েছে। কিন্তু তাঁদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নিজেকে সকলের সামনে বেশি মেলে না ধরা। অনেক সময় জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে মানুষের মধ্যে এই ধরনের বৈশিষ্ট্য আসে। তা দোষের নয়। মিমি নিজে জানে সেটা।তাই অর্জুনকে অন্তর্মুখী বলেছে।
পর্দায় এদের রসায়ন বেশ ভালো।খোলামেলা অভিনয়।দুজনেই নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
খেলা যখন’-এর প্রচারে এসেছিলেন দুজন। সেই সময় উঠে আসে তাঁদের প্রথম কাজ ‘গানের ওপারে’-র প্রসঙ্গ। মিমি বলেন, তিনি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন এসেছেন। পাশ থেকে অর্জুন বলে ওঠেন, তিনি তো মিমির পঞ্চাশ বছর আগে এসেছিলেন। কিন্তু মিমির মতে, অর্জুন এমন একটি পরিবার থেকে এসেছেন যার সদস্যরা ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত। মিমি সবসময়ই ভয়ে থাকতেন, যদি তাঁর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সকলে তাঁদের রসায়নের প্রশংসা করলেও অর্জুন কথা বলতেন না মিমির সাথে। এরপর একটি ফিল্মে তাঁরা একসাথে ।সকলে তাঁদের রসায়নের প্রশংসা করলেও অর্জুন কথা বলতেন না মিমির সাথে। এরপর একটি ফিল্মে তাঁরা একসাথে কাজ করেন। ফিল্মের সেটে অর্জুনকে দেখে মিমির মনে হত, তিনি যেন নায়িকাকে দেখে বিরক্ত হচ্ছেন।
‘ক্রিসক্রস’-এ মাত্র তিন দিনের কাজ ছিল। সেখানেও মিমির সাথে একই আচরণ করেন অর্জুন। ‘খেলা যখন’-এর প্রোমোশনের সময় মিমির টিম তাঁকে জানায়, অর্জুনকে ট্যাগ করা যাচ্ছে না।এমনকি মিমির কাছে অর্জুনের ফোন নম্বর পর্যন্ত ছিল না।
অর্জুন হাসতে হাসতে বলে,সে সারা জীবন এমন অসামাজিক।এখন একটু মানুষ হয়েছে।সবাই অর্জুনের কথাও উল্লাসে হেসে ওঠে।