High Court- এর নির্দেশে নিয়োগ-জট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে
নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ জট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে। স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিপাকে পড়েছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। প্রশ্ন ভুল মামলায় ১ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে একনম্বর করে দিতে হবে। এর জন্য কমিশনকে ৭ দিন সময় দিয়েছে আদালত। ৭ দিন পর এই নির্দেশ কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আদালতের নির্দেশে সমস্যায় পড়েছে মাদ্রাসা কমিশন। কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। অনেককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই সময় বাড়তি ১ নম্বর করে দিতে হলে নতুন করে প্যানেল তৈরি করতে হবে। কেননা বাড়তি নম্বর পাওয়ার পর অনেক পরীক্ষার্থীই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এর পরই আদালত জানায়, এই সমস্যা কী ভাবে কাটিয়ে উঠবে কমিশন, তার জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে। ২১ ডিসেম্বরের পর প্রার্থীদের অতিরিক্ত এক নম্বর দিতেই হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেছিলেন মিজানুর ইসলাম। সপ্তম এসএলএসটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পরও তাঁকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। কাট অফ মার্কস ছিল ৬১। মামলাকারী পেয়েছিলেন ৬০.৫ নম্বর। ২৮ জুলাই হাইকোর্টে মামলা করেন মিজানুর।
প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নের উত্তরের বিকল্পে ভুল ছিল। এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন মিজানুর ইসলাম। মাল্টিপল চয়েস টাইপের সেই প্রশ্নে ছিল,
রাজ্য বিধানসভায় জিরো আওয়ার হল-
১) দুপুর ১টা
২) ঘুমানোর সময়
৩) সভা সমাপ্তির সময়
৪) বাক্যবাণে আক্রমণ করার কাম্য সময়
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সচিবের কাছে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে চায় হাইকোর্ট। গত ২৮ নভেম্বর বিধানসভার সচিব জানান, এই প্রশ্নের উত্তরের বিকল্পে ভুল রয়েছে। বিধানসভার কাজের ধরণ অনেকটা লোকসভা এবং রাজ্যসভার মতো। জিরো আওয়ারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ১২১টি পদে প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশ হয় ওই বছর ১১ অগাস্ট।
হাইকোর্টে বিচারের আশায় মামলা দায়েরের জেরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। এর সবটাই হচ্ছে হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে।