দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিকট শব্দ যুক্ত বাইক,কমিশনারের কাছে প্রবীণ নাগরিকদের অভিযোগ
নিউজ ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ সহ বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিকট শব্দ যুক্ত বাইক।কিছুদিন আগেই”” মিট দ্য অফিসার””শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে এই বাইকগুলির বিকট আওয়াজ করে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ানো নিয়ে আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তমের কাছে দুর্গাপুরের প্রবীণ নাগরিকরা অভিযোগ জানান। বিশেষ করে যারা হৃদরোগ ও স্নায়ু রোগের সমস্যায় ভুগছেন বাইক গুলির বিকট আওয়াজের জেরে তাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আধুনিক প্রজন্মের ছেলেরা তাদের বাইকগুলোর সাইলেন্সার পাইপ গুলোকে কেটে ফেলছে। দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড, চন্ডীদাস বাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় এই বিকট শব্দযুক্ত সাইলেন্সার পাইপ গুলি লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তিন হাজার টাকা থেকে প্রায় 7-8 হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে এই বিকট শব্দ যুক্ত সাইলেন্সার পাইপ গুলি লাগানো হচ্ছে বলে খবর। এই ধরনের বিকট শব্দ যুক্ত বাইক চালানো আধুনিক প্রজন্মের এই বাইক চালকরা একটা অন্য আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিকট শব্দ যুক্ত এই বাইকগুলি।কমিশনারের নির্দেশে এবার শুরু হল এই ধরনের বাইক ধরপাকড়। দুর্গাপুরের বি-জোন ফাঁড়ির পুলিশ শুক্রবার অভিযান চালিয়ে এইরকম পাঁচটি বাইক বাজেয়াপ্ত করে। স্টিল টাউন শিপের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাইক গুলো ধরা হয়।পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক আইন মোতাবেক এগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গৃহীত হবে বলে জানানো হয়েছে।
সরু পাইপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সাইলেন্সার যার শব্দ সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছে। কোন কোন সাইলেন্সার দিয়ে আবার দেখা যাচ্ছে আগুনের ফুলকি বেরোতে।এরকম বাইক চালাতে গিয়ে ধরা পড়ার পর শুভজিত অধিকারী নামের এক যুবক জানালো, “মজা পেতাম এই বাইক চালিয়ে বলে চালাতাম। আর চালাবো না। সাইলেন্সার পাইপ পরিবর্তন করে দেবো। “
“ট্রাঙ্ক রোড়ের বিভিন্ন গ্যারেজে ও গাড়ির স্পেয়ার পার্টস এর দোকানে এই ধরনের সাইলেন্সার পাইপ বিক্রি হয়। আমি 3000 টাকায় কিনেছিলাম। আরো অনেক বেশি দামি ও সাইলেন্সার পাইপ বিক্রি হয় ওই দোকানগুলিতে। “
যে সমস্ত দোকানগুলো থেকে এই ধরনের সাইলেন্সার পাইপ বিক্রি হচ্ছে বা লাগানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক দাবি শহরবাসীর৷