শুভেন্দুকে নিয়ে প্যারোডি গাইলেন কুণাল
নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারীকে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সম্প্রতি তারিখ দিয়ে ডিসেম্বর সাসপেন্স তৈরি করা নিয়ে শুভেন্দুকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। আবার অমিত শাহের হাতে মামলার তালিকা পেশ করা নিয়ে খোঁটা দিয়েছিলেন। এবার তিনি তোপ দাগলেন প্যারোডি গেয়ে।
তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্যারোডি গেয়ে বলেন, সারা জীবন চুরি করে শুভেন্দু নাকি যোগী। শুভেন্দু অধিকারীর খোল বাজিয়ে হরিনাম করাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এক আধটা নয়, দু-দুটি গানের প্যারোডি করে কুণাল ঘোষ নিশানা করেন শুভেন্দুকে।
কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্যোটেপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলিকে নকল করে বিজেপি নিজেদের প্রকল্প বলে চালাতে চাইছে। আর বাংলায় তারা বদনাম করে চলেছে। সোমবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রানাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্টা সভা করেন। এই সভা থেকে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন।
রানাঘাটের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে কুণাল ঘোষ প্রথমে শোনান- ‘হরি হরয়ে নমঃকৃষ্ণ, যাদবায় নমঃ, যাদবায় মাধবায় কেশবায় নমঃ। তারপরই তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নাচের সঙ্গে মানানসই হবে কোন গান, তা গেয়ে শোনান। তিনি প্যারোডি করে গাইতে শুরু করেন- ‘এক টানেতে যেমন তেমন, দু-টানেতে রোগী, সারা জীবন চুরি করে শুভেন্দু নাকি যোগী।’
শুভেন্দু অধিকারীও প্রতিনিয়ত আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ও তৃণমীল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্যোজীপাধ্যায়কে নাম না করে কটাক্ষ কর চলেছেন। আর তারা পাল্টা দিয়ে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর ডিসেম্বর ডেডলাইনের জবাব দিয়েছিলেন। এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাল্টা চুরির অভিযোগ আনেন কুণাল।
কুণাল ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পগুলিকে নকল করে বিজেপি নিজেদের প্রকল্প বলে চালাতে চাইছে। ভোটে হারার প্রতিহিংসায় কেন্দ্রের টাকা বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আবার ইডি-সিবিআই লেলিয়ে গিয়ে তৃণমূলকে রোখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এদিন ফের তৃণমূলে থাকার সময়ে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের রেকর্ডিং শুনিয়ে আক্রমণ শানান কুণাল ঘোষ।
এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তারিখ ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ডিসেম্বরে ধামাকা হবে। সরকার পড়ে যাবে। তারপরে তিনি দিন নির্ধারণও করে দিয়েছিলেন। বলেন, আসলে তারিখ দিয়ে দিয়ে একটা করে মৃত্যু ডেকে আনছে বিজেপি। ডিসেম্বরে নাকি সরকার পড়ে যাবে। ফুটো কলসি বাজে বেশি।