খেলার দুনিয়াকে মুহ্যমান করেছে যে, সেই নক্ষত্রদের চিরবিদায়
নিউজ ডেস্কঃ ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে খেলোয়াড়রা আজীবন থেকে যান। যদিও জীবন থাকলেই মৃত্যুও যে পৃথিবী থেকে সকলকেই একদিন ছিনিয়ে নেবে, সেটাও অস্বীকারের উপায় নেই। ২০২২ সালে ক্রীড়াবিশ্বকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে একাধিক কিংবদন্তির প্রয়াণ। বেশিরভাগটাই অবশ্য ক্রিকেটে।
রডনি মার্শ ও শেন ওয়ার্নের মধ্যে মৃত্যুর ব্যবধান কয়েক ঘণ্টার। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে আয়রন গ্লাভস নামে পরিচিত রড মার্শের জীবনাবসান হয় ৪ মার্চ। বয়স হয়েছিল ৭৪। ৯২টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন ১৯৭০ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর। ১৯৮২ সালে প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে তাঁর টেস্ট শতরান রয়েছে। অ্যাডিলেডের হাসপাতালে তিনি প্রয়াত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তাইল্যান্ডের রিসর্টে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শেন ওয়ার্নকে। ৫২ বছরের ওয়ার্নকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর জীবনাবসান হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানা যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে।
ওয়ার্নের মৃত্যুর মাস দুয়েকের মধ্যেই প্রয়াত হন তাঁর সতীর্থ অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস। ১৪ মে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সাইমন্ডস। বিশ্বের কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় বিল রাসেলের জীবনাবসানও হয়েছে চলতি বছরেই। ১৯৫৭ থেকে ১৯৬৯ অবধি ১৩ মরশুমে তিনি ১১টি চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতেছেন। এনবিএতে খেলতেন বস্টন সেলটিক্সের হয়ে। ৩১ জুলাই ৮৮ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। নাগরিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনেও নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। ৪ ডিসেম্বর প্রয়াত হন টেনিস কোচ নিক বল্লেত্তিয়েরি। বয়স হয়েছিল ৯১। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারকা হয়েছেন মারিয়া শারাপোভা, মনিকা সেলেস থেকে আন্দ্রে আগাসির মতো টেনিস প্লেয়াররা। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬ জন হল অব ফেমে ভূষিত হয়েছেন।
আইসিসির এলিট প্যানেলের প্রাক্তন আম্পায়ার আসাদ রউফের জীবনাবসান হয় লাহোরে, ১৪ সেপ্টেম্বর। তিনি ৬৪টি টেস্ট, ১৩৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক ও ২৮টি টি ২০ আন্তর্জাতিক খেলিয়েছেন। ২০১৩ সালে আইপিএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডেও তাঁর নাম জড়িয়েছিল। ২০১৬ সালে বিসিসিআই তাঁকে অবৈধ ও দুর্নীতিমূলক কাজে যুক্ত থাকায় পাঁচ বছর নির্বাসনে পাঠায়। আম্পায়ারিংয়ে আসার আগে তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটার ছিলেন। গত ৯ অগাস্ট প্রয়াত হন দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার রুডি কোয়ার্টজেন। গল্ফ খেলে ফেরার সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান। কেউ আউট হলে তিনি ধীরগতিতে আঙুল তুলতেন। সে কারণে ওই পদ্ধতিকে বলা হতো স্লো ফিঙ্গার অব ডেথ। ১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক চরণজিৎ সিং প্রয়াত হয়েছেন গত ২৭ জানুয়ারি। বয়স হয়েছিল ৯০। ১৯৬০ সালে অলিম্পিকে রুপোজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর জীবনাবসান হয়।