চীনের পর্দা ফাঁস
নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে একাধিকবার ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা লাল ফৌজের। কখনো উত্তর সিকিম, অরুণাচল আবার কখনো পূর্ব লাদাখ ভারতীয় সেনার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে চীনা সেনা। তবে কেন বারবার নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা জিন পিং সেনার, শুধুই কি জমি দখলের চেষ্টা? নাকি এর পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য রয়েছে চীনের। উত্তর খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হিমালয়ের উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে মূলত উত্তরাখন্ড, সিকিম, অরুণাচলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পাওয়া যায় কর্ডিসেপস নামক এক ব্যয়বহুল ছত্রাক।যা ক্যাটারপিলার মাশরুম বা “হিমালয়ান গোল্ড” নামে পরিচিত। সোনার চেয়েও দামি এই কর্ডিসেপস। আন্তর্জাতিক বাজারে যার দাম প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা প্রতি কিলো। ক্যান্সার, লিভারের সমস্যা সহ একাধিক জটিল রোগ নিরাময়ে অতি মূল্যবান ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই ক্যাটারপিলার মাশরুম।এই কর্ডিসেপস সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা লাল ফৌজের।আন্তর্জাতিক বাজারে কর্ডিসেপসের মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা প্রতি কিলো।
উল্লেখ্য, চীন এমন একটি দেশ যারা সামরিকভাবে শক্তিশালী হলেও সে দেশের নাগরিকরা মানসিকভাবে দুর্বল এবং চীনা নাগরিকদের খাদ্য তালিকায় থাকে এই দুনিয়ার নানান প্রজাতির জীবজন্তু। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি তক্ষক। সে দেশের নাগরিকদের ধারণা এই তক্ষক খেলে নাকি যৌবন ধরে রাখা যায়। বিভিন্ন ছত্রাক, ভেষজ জরিবুটির ব্যবহারও সে দেশে প্রচুর। ভারতীয় ভূখণ্ডে কর্ডিসেপস সংগ্রহের তাগিদায়। অনুপ্রবেশের আড়ালে ভারতীয় ভেষজ চুরি করার লক্ষ্যে বারবার নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা লাল ফৌজের। চীন সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার কাছেও স্পষ্ট লাল ফৌজের এই অনুপ্রবেশের লক্ষ্য কর্ডিসেপস সংগ্রহ করা। ছদ্মবেশেও চলে এই অনুপ্রবেশ। যে কারণে চীন সেনাকে রুখতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী।