বাড়ি না পেলে এবার ভোট বয়কটের ডাক শবর পরিবারগুলির
নিউজ ডেস্কঃ কালাঝড়িয়া গ্রামের লোধা-শবর পরিবার গুলির,আবাস প্লাস তালিকাতেও নেই নাম।বাড়ি না পেলে এবার ভোট বয়কটের ডাক শবর পরিবার গুলির।
যাদেরকে বাড়ি দেওয়ার জন্য এত আয়োজন সরকারের, তারাই বঞ্চিত দিনের পর দিন ধরে।
আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যখন কেন্দ্র রাজ্য তরজা চলছে। আবাস যোজনায় শাসকদলের নেতার ঘনিষ্ঠদের পাইয়ে দেওয়ার নানান অভিযোগ উঠছে। ঠিক সেই সময়ই আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া থেকে শত যোজন দূরে, ঝাড়গ্রামের লোধাশবর প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ টি পরিবার। পরিবার গুলির দাবি ভোট আসে ভোট যায় নেতারা এসে আশ্বাস দেন। ভোট ফুরালেই সবাই ভুলে যান তাদের। তাই এখনও ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতেই বসবাস করতে হচ্ছে তাদেরকে। মাটির বাড়ি ভাঙাচোরা দেওয়াল, মাথার ওপরে ভাঙ্গা অ্যাসবেস্টারের চাল, কোথাও আবার মাথার ছাউনি বলতে সম্বল একটি ছেঁড়া ত্রিপল।এই কনকনে শীতে ভাঙ্গাচোরা ঘরগুলিতেই বসবাস করছেন লোধা শবর সম্প্রদায়ের মানুষজন।
বাংলা জুড়ে আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে প্রতিদিনই। রাজনৈতিক তরজা, রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।এতকিছুর খবর থেকে বহু দূরে বাস তাদের। জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়া অঞ্চলের কালাঝরিয়া গ্রামের মানুষ জানেনই না তাদের মাথার উপরে পাকা ছাদের জন্য সরকারের এত্তো আয়োজন।অথচ এই আয়োজনের ছিটেফোঁটাও পৌঁছইনি এই গ্রামে।একদিকে ভাঙাচোরা বাড়ি অন্যদিকে জঙ্গল এর ধারে বাস মানেই হাতির হামলার ভয়। নিজেদের সামান্য রোজগারে কোন রকমে একটু মাথা গোজার ঠাই করলেও মাঝেমধ্যে হাতি এসে ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়।
মানিকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালাঝরিয়া গ্রামে প্রায় ৬০ টি লোধাশবর পরিবার বসবাস করেন। যাদের আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম তালিকা ভুক্ত হয়নি।তাদের আবার নতুন করে নাম পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।