গঙ্গাসাগর ও মকর সংক্রান্তির ইতিহাস

0 0
Read Time:4 Minute, 12 Second

নিউজ ডেস্ক : ভারতের বৈদিক সংস্কৃতি ও সাহিত্যি গঙ্গা সাগর সঙ্গম বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মহা তীর্থ।অতি প্রাচীনকাল হতেই আধ্যাত্মক পথে সাধক, মুনি, ঋষি সাধু শান্ত গান, গঙ্গা তটো ভূমিতে আশ্রয় নিয়ে তারা তাঁদের পরম প্রাপ্তি লাভ করেছেন। অগণিত মঠ, মন্দির, দেবালয়, তীর্থক্ষেত্র গড়ে উঠেছে গঙ্গার উভয় তীরে। গঙ্গা তীরে যাক যজ্ঞ, শাস্ত্র পাঠ, দান, তপস্যা, জব, শ্রাদ্ধকৃত, দেবতা পূজন যা কিছু অনুষ্ঠিত হয় তা কোটি গুন ফল প্রদান করে।

প্রবিত্র গঙ্গা জলের স্পর্শে সন্তানরা মুক্ত হলেন।এই সেই শুভ্র বালুকা যুক্ত সুবিস্তৃত বেলাভূমি নিকটে সবুজ বনানী সীমাহীন সৌন্দযো সম্ভরে সোজিত্ত ভূমি গঙ্গাসাগরে সঙ্গম।

গঙ্গাসাগর সঙ্গম মহা তীর্থ একবার বা একদিনের জন্য নয়।গঙ্গাসাগর সঙ্গম নিত্য মহা তীর্থ।কেননা গঙ্গাসাগর মহাতীর্থের মাহাত্ম অপরিসীম, অনির্বাচনীয়,এবং অপরিমেও।

গঙ্গাসাগর মেলার প্রধান আকর্ষণ শ্রী কপিল দেবের মন্দির। শ্রী মন্দিরের কপিল দেব পদাশনে যোগারুড অবস্থায় উপুবিষ্ট।তাঁর বামহাতে কেমন্ডুল, ডান হাতে জপ মালা, পঞ্চনাগ ছত্রবধ অবস্থিত।এই গঙ্গাসাগর সঙ্গমে রবিবার ১৪ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তি দিবসে কয়েক লক্ষ পূর্ণাথি মহা স্নান করবেন।

জগৎ জীবের উদ্ধারের জন্য ত্রিলক পাবনী গঙ্গা দেবীর এই জগতে আগমন।তাই আমরা এই মহা তীর্থ গঙ্গা সাগর সঙ্গমে মকর সংক্রান্তির স্নান মহৎসবের দিনে ত্রিলক জননী গঙ্গা দেবীর চরণ সমীপে প্রাথনা করি। আদতে গঙ্গাসাগরের মেলা হল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ সাগরে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কপিল মুনির আশ্রমে অবস্থিত প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত একটি মেলা ও ধর্মীয় উৎসব।

এই দুয়ের মেলবন্ধনে আবদ্ধ গঙ্গাসাগর মেলা।কবে থেকে এই মেলা চালু হয়ে ছিলো, অর্থাৎ সময়ের হিসাবে কোনো সাল, তারিখ আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতের যত প্রাচীন পুঁথি বা পুরোনো গ্রন্থ রয়েছে, তার প্রায় সবেতে এই মেলার উল্লেখ রয়েছে।

গঙ্গাসাগর মেলা দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা। কুম্ভ মেলার পরে। সাগর দ্বীপের দক্ষিণে হুগলি নদী বঙ্গোপসাগরে পতিত আছে। এই স্থানটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র স্থান। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিন প্রচুর পূর্ণার্থীর ভিড় হয়।তবে বিহার – উত্তর প্রদেশ থেকে আগত অ- বাঙালি পূর্ণার্থীদের সর্বাধিক ভীর হয়।

একদা কপিল মুনির ক্রোধণিত নীতিতে সাগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র ভষ্মিভূত হন এবং তাঁদের আত্মা নরকে নিখিপ্ত হয়। পাল বংশের রাজা দে ব পালের একটি লিপিতে তাঁর গঙ্গাসাগর -সঙ্গমে ধর্মানুষ্ঠান করার কথা বলা হয়েছে। লোকো কাহিনী অনুযায়ী এখানে কপিল মুনির একটি আশ্রম ছিল। একসময় সেটি সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।তারপর পুনরায় নতুন করে আশ্রম গড়ে ওঠে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
100 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!