বিজেপির গঙ্গা আরতি
নিউজ ডেস্ক::ইতিমধ্যে বিজেপির গঙ্গা আরতি নিয়ে বেশ কিছুটা জল ঘোলা হয়েছে। পুলিশের গঙ্গা আরতি নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল। মঙ্গলবার গঙ্গার মঙ্গল চেয়ে বাবুঘাটে গঙ্গা পুজোর অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, গঙ্গাসাগর মেলার আবহে বাবুঘাট এলাকায় ইতিমধ্যে পুণ্যার্থীদের একটা বড় অংশ জড়ো হতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবারেও তার অন্যথা হবে না। ফলে তার মাঝে বিজেপির প্রস্তাবিত কর্মসূচি আয়োজিত হলে শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হবে। পুণ্যার্থীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতেও সমস্যার মুখে পড়বে পুলিশ। পুলিশ আরও জানিয়েছিল, ৯ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় জি২০ সম্মেলন শুরু। চলবে ১১ তারিখ পর্যন্ত। সেখানে ব্যস্ত থাকবে পুলিশ। ফলে ১০ তারিখ, মঙ্গলবার বিজেপির কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেপি অন্য কৌশল নিয়ে গঙ্গা আরতি করে।
মঙ্গলবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরের সামনে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বাজে কদমতলায় দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশবাহিনী। সে দিকে না গিয়ে সুকান্ত পায়ে হেঁটে চলে যান বাবুঘাটে। সেখানেই সারলেন গঙ্গা আরতি। শেষে বললেন, ‘‘আমি বলেছিলাম, পুজো করব। পুজো করেছি। পুলিশ আটকাতে পারেনি। আমার ধর্মীয় অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। সর্বত্রই গঙ্গা এক। এখন পুলিশ চাইলে আমায় গ্রেফতার করুক।’’
ধর্ম ও রাজনীতি মিশিয়ে দিলে যে দেশের সমূহ বিপদ তা নাগরিক মহলের অনেকেই বলছেন।
বিজেপির কৌশল হয়তো সফল হলো কিন্তু ওদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলো না।
গঙ্গা আরতি সেরে বাবুঘাট থেকে হেঁটে এর পর বাজেকদমতলার দিকে এগোতে থাকেন সুকান্ত। তত ক্ষণে দলের কর্মী-সমর্থকদের একটা অংশকে আটক করে পুলিশ ভ্যানে তোলে। সুকান্ত এর পর সেই ভ্যানের সামনেই বসে পড়েন। শেষে সুকান্তকে আটক করে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। বাধা দিতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের চ্যাংদোলা করে তুলে সরিয়ে দেয় পুলিশ। একটা সঙ্কট তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিজেপি সফল – এ কথা বলাই যায়।