‘ব্রাহ্মণ্যবাদী পদ্ম’ – ধানতলার জনসভা থেকে বললেন ব্রাত্য বসু
নিউজ ডেস্ক::নদীয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার একটা বড়ো অংশের ভোটের নির্ধারক শক্তি মতুয়া সম্প্রদায়। ইদানিং সেই ভোট বাক্সে তৃণমূলকে সরিয়ে থাবা বসিয়েছে বিজেপি। এবার তৃণমূল উঠেপড়ে লেগেছে সেই ভোট ফিরিয়ে আনার জন্য। বৃহস্পতিবার সেই মতুয়া তথা নমঃশূদ্র প্রধান ধানতলায় জনসভা করতে এসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিজেপিকে কার্যত ব্রাহ্মণ্যবাদী দলের তকমা দিয়ে দাবি করেন, “ব্রাহ্মণ্যবাদী পদ্ম এখানে কাজ করবে না।”
একই সঙ্গে অসমের উদাহরণ দিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষকে হুঁশিয়ার হতে বলেন। মন্তব্য করেন, ‘‘বিজেপিকে যাঁরা ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা কালিদাসের মতো হবে।’’ পাল্টা রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আমরা কোনও সম্প্রদায়কে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বনবাসী, দলিত— এই ভাবে টুকরো করে ভাবি না। এই কথা বলে উনি মতুয়াদের অপমান করেছেন।’ রাজনীতির ময়দান জমে উঠেছে এই মতুয়া ভোট নিয়ে। একসময় এই অঞ্চল ছিল বামেদের প্রভাবিত। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে।
আসলে নাগরিকত্ব আইন এখন একটা বড়ো বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। মতুয়াদের ভারতের নাগরিক বলেই দাবি বাম ও তৃণমূলের। অপরদিকে বিজেপি বলছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিভ্রান্ত মতুয়ার। নাগরিকত্ব আইনের প্রতি সমর্থন এঁদের বড় অংশকে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে টেনে এনেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ধানতলায় মতুয়া মহাসম্মেলনে এসে সেই আইন নিয়ে ফের সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন কার্যত তারই পাল্টা সভায় ব্রাত্য মনে করিয়ে দেন, অসমে এনআরসি করতে গিয়ে বহু মানুষের ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ স্থান হয়েছে। তাঁর দাবি, “মতুয়াদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাইছে বিজেপি।
” শুভেন্দুর উদ্দেশে ব্রাত্য বলেন, “বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রীকে বলুন, গুজরাতে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামে একটি মন্দির করে দেখাতে। পশ্চিমবঙ্গে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। পাশে ত্রিপুরাতেও বহু মতুয়া আছেন। অথচ সেই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার ঠাকুরের জন্মদিনে সরকারি ছুটি দেয় না।” সামগ্রিক বিষয় নিয়ে সঙ্কটে মতুয়া সম্প্রদায়।