‘দিদির দূত’ হয়ে সাংসদ শতাব্দী মেজাজ হারালেন

0 0
Read Time:2 Minute, 34 Second

নিউজ ডেস্ক::শুক্রবার সারাদিন সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায় তাঁর নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়ালেন। সাংসদকে সামনেই পেয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা। আর সে সব অভিযোগ শুনতে শুনতে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন সাংসদ। ‘একই কথা ১৪ বার বলছেন কেন?’, বিরক্ত হয়ে বললেন ‘দিদির দূত’। পরে অবশ্য শতাব্দীর ব্যাখ্যা, তিনি নাকি মজা করে বলেছেন। আসলে শতাব্দীর মতো সেলেবদের পক্ষে গ্রামের গরিব মেঠো মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় থাকা একটু অসুবিধাই।

সাংসদকে সামনে দেখতে পেয়ে গ্রামের নারী-পুরুষ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। এর আগে প্রাক নির্বাচনী ভাষণে শতাব্দী বলেছিলেন,আমাকে ভোট দিন। তাহলে আর আমাকে দেখার জন্য টিকিট কেটে হলে যেতে হবে না। তা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। সামনে বসে থাকা মহিলারা কেউ বলছেন, বিধবা ভাতা পান না, কেউ বলছেন, তাঁদের ঘর নেই। কেউ জল, কেউ রাস্তা… অভিযোগ ঘুরেফিরে একই। সে সব শুনতে শুনতে মেজাজ হারাতে দেখা যায় শতাব্দী রায়কে। তিনি বলেন, ‘তোমরা সামনে বসে একই কথা ১৪ বার বলে যাচ্ছ।’ পরে তিনি আশ্বস্ত বলে বলেন, ‘দুয়ারে সরকারে যাঁরা বিধবা ভাতার নাম লিখিয়ে এসেছ, তারা একে একে ভাতা পেয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে আর কোনও প্রশ্ন করো না।’ আর আবাস যোজনার ঘর কেন মিলছে না? শতাব্দীর উত্তর, ‘যাঁদের বাড়ি আছে, বাইক আছে, টিভি আছে, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন তো? এটা আর নতুন করে বলতে হবে না। আজন্মকাল ধরে পশ্চিমবঙ্গে এটা হয়ে আসছে।’ যদিও তাঁর এই কথার সঙ্গে সহমত নন বিরোধীরা। তাঁরা বলছেন, দুর্নীতি হয়তো আগে ছিল, কিন্তু সেটা বিচ্ছিন্ন। আর এখন দুর্নীতিটাই আসল নীতি।

শেষে সাংসদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তো মেজাজ হারাইনি। হেসেই বলেছি, একই কথা কেন বলছ? ওটা তো মজা। মজা করেই বলেছি।”

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!