লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জন সিবিআই কর্তা সাসপেন্ড
নিউজ ডেস্ক::সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে সিআইডি। লালন শেখের স্ত্রীর অভিযোগ লালনকে সিবিআই হত্যা করেছে। এই পরিস্থিতিতে কোলকাতা হাইকোর্ট সিআইডিকে তদন্ত করতে বলেন। সিআইডির অভিযোগের ভিত্তিতে লালন শেখের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল সিবিআইয়ের চার আধিকারীককে। তারমধ্যে ২ জন তদন্তকারী এবং ২ জন কনস্টেবল। তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
বকটুই কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখ দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে থাকলেও শেষে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। তদন্তের জন্য তাকে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে আনা হয়। গত ডিসেম্বরে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী হেফাজতে মারা যান বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছিল লালন শেখের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে ভিত্তিতেই লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল চার সিবিআই আধিকারিককে। ঘটনার দিন রামপুরহাটের সেনা ছাউনিতে ছিলেন তাঁরা ঘটনার দিন। ২ সিবিআই আদিকারীক এবং ২ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ভাদু শেখ খুনের তদন্তকারী অফিসার রাহুল প্রিয়দর্শী এবং বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার বিলাস মাধঘটুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে লালন শেখের পাহারা দায়িত্বে থাকা দুই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়। তদন্ত এখন অনেক বাকি। বিজেপি প্রথম থেকেই বলে আসছে, লালন শেখ যদি বাঁচা থাকতো তাহলে অনেককেই হয়তো জেলে যেতে হতো। তাই লালনের মৃত্যুর পিছনে তারা একটা ষড়যন্ত্রের কথা বলেছে।