মমতা চটাতে চান না মোদীকে, তাই ভারত জোড়ো যাত্রায় ‘না’!

0 0
Read Time:4 Minute, 10 Second

নিউজ ডেস্ক::অধীর চৌধুরী ভারত জোড়ো যাত্রায় শিলিগুড়ি পৌঁছনের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বোমা ফাটালেন। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সাগর থেকে পাহাড় পর্যন্ত পরিক্রমায় নেতৃত্ব দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে চটাতে চান না বলেই মমতা বন্যোরমপাধ্যায় ভারত জোড়ো যাত্রায় ‘না’ করে দেন।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শুরু হয় ভারত জোড়ো যাত্রা। এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মাটিগাড়ার মায়াদেবী ক্লাব মাঠে এসে পৌঁছায় ভারত জোড়ো যাত্রা।

ভারত জোড়ো যাত্রার মিছিলে এদিন পা মেলান জেলা কংগ্রেসের নেতৃত্ব, কর্মী ও সমর্থকেরাও। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্ব সাগর থেকে শুরু করে কংগ্রেসের এই ভারত জোড়ো যাত্রা পা দিয়েছে শিলিগুড়িতে। গত ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে অধীর চৌধুরী সাগর থেকে এই যাত্রার সূচনা করেন।

রবিবার এই যাত্রা এসে পৌঁছল শিলিগুড়িতে। সোমবার ফের শিলিগুড়ির দাগাপুর ময়দান থেকে শুরু করে পাহাড়ের কার্শিয়াং-এর উদ্দেশ্যে রওনা হবে ভারত জোড়ো যাত্রা। এই ভারতজোড়ো যাত্রা এখনো পর্যন্ত প্রায় ৭০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছেন অধীর। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে তা শেষ হওয়ার কথা।

বাংলায় ভারত জোড়ো যাত্রা শেষের আগের দিন অধীর চৌধুরী ফের নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অধীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই চটাতে চান না নরেন্দ্র মোদীকে। তাই তিনি ভারত জোড়ো যাত্রা এড়িয়ে গেলেন। আমন্ত্রণ সত্ত্বেও কোনও উত্তর দিলেন না।

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি। মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে কাশ্মীরে এই যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে মোট ২২টি দলকে আমন্ত্রণ জানায় কংগ্রেসয সেই তালিকায় তৃণমূল ছাড়াও রয়েছে জেডিইউ, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা, তেলেগু দেশম পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, ডিএমকে, সিপিএম, সিপিআই, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, পিডিপি, এনপিপি, এমডিএমকে-সহ ২২টি দল।

তৃণমূল কংগ্রেস এই যাত্রায় য়োগ দেবে না। তা নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন অধীর চৌধুরী। মোদীর সঙ্গে মমতার বোঝাপড়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। সেই বোঝাপড়াকে মোমো বলে কটাক্ষও করেন তিনি। তাঁদের মদ্যে মো-মো বোঝাপড়ার ব্যাখ্যায় অধীর বলেন, মোদীজি যখন বলেন কংগ্রেসমুক্ত ভারত, তখন মমতা বলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। একমাত্র মমতা বন্যোসমপাধ্যায়ই এই যাত্রা নিয়ে নীরব থেকেছেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!