মঙ্গলেই তৃণমূল যুবনেতার মুখোমুখি মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস!
0
0
নিউজ ডেস্ক::এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে! শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি নামও ইতিমধ্যে সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, চাকরি দেওয়ার নামে বাজার থেকে কে কত টাকা তুলেছে এই বিষয়ে আরও স্পষ্ট হতে চান ইডির আধিকারিকরা।
আর সেই কারণেই মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামীকাল মঙ্গলবারই তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রে খবর, আগামীকাল তাপস মন্ডলকে একাধিক বিষয়ে জেরা করবেন ইডির আধিকারিকরা। এমনকি কুন্তলের মুখোমুখিও বসানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেই ১৯ কোটি টাকা কুন্তল তুলেছিল বলে দাবি করেছিলেন তাপস মণ্ডল। এরপর থেকেই কুন্তলের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও কুন্তলের দাবি, তাপস বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন। এই বিষয়ে কল রেকর্ডও নাকি ইডিকে কুন্তল দিয়েছেন বলে দাবি। এই সমস্ত বিষয়ে এবার স্পষ্ট হতে চাইছেন তদন্তকারীরা। আর সেই কারণেই দুজনকে মুখোমুখি বসানো বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে কুন্তল বেশ কয়েকজনের নাম বলছেন। গোপাল দলপতি, নিলাদ্রী ঘোষ! তাঁরা কারা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তৃণমূল যুবনেতার দাবি, সবটাই চক্রান্ত। এমনকি দুজন নাকি তাপস মণ্ডলের দালাল। ফলে নিয়োগ দুর্নীতিতে এদের ভূমিকার বিষয়েও তাপস মন্ডলকে ইডি জেরা করতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট এবং মেসেজ। যদিও একাধিক চ্যাট ডিলিট করে ফেলা হয়েছে। এমনকি অনেক সময়ে তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও হোয়াটস অ্যাপ এবং মেসেজ ব্যবহার করতেন কুন্তল। এই সমস্ত চ্যাট এবং মেসেজ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও খবর।
অন্যদিকে উদ্ধার হওয়া কুন্তলের জোড়া ডায়েরি থেকে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সাঙ্কেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলি দিয়ে আদৌতে কি বোঝানোর চেষ্টা করছেন কুন্তল! এই বিষয়েও বেশ কিছু এক্সপার্টদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই ডায়েরিই তদন্তকারীদের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে। সম্প্রতি আদালতে এই ডায়েরি উদ্ধারের কথা আদালতে জানিয়েছে ইডি। এবং সেখানে কার কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
