ত্রিপুরায় বামেদের প্রার্থী তালিকায় চমক!
নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার ত্রিপুরায় বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কথা থাকলেও বুধবার রাতে তা প্রকাশ করা হল। প্রথমবার ত্রিপুরায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল বামেরা।
সেই মতোই তাদের জন্য আসনে ছেড়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
ত্রিপুরা বিধানসভায় আসন রয়েছে ৬০ টি। এই ৬০ টি আসনের মধ্যে বুধবার ৪৭ টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে ত্রিপুরা বামফ্রন্ট। তারা ১৩ টি আসন ছেড়েছে কংগ্রেসকে। বিজেপির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করার কথা জানিয়েছে।
৪৭ টি আসনের মধ্যে সিপিআই-এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৪৩ টি আসনে। এছাড়া বামফ্রন্টের অংশীদার সিপিআই, আরএসপি এবং ফরোয়ার্ড ব্লক একটি করে আসনে লড়াই করবে। রাজ্যে ২০১৩ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ১০ টি আসনে জয় পেলেও, ২০১৮-তে তারা একটি আসনও পায়নি।
বামফ্রন্টের তরফে নির্দল প্রার্থীকে একটি আসনে সমর্থন করার কথা জানানো হয়েছে। সেখানে লড়াই করবেন পুরুষোত্তম রায় বর্মন। তিনি রাজ্যে আইনজীবী এবং মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত। এবারের নির্বাচনী ময়দানে বামেরা ২৪ জন নতুন মুখকে প্রার্থী করেছেন। বর্তমান আটজন বিধায়ককে বাদ দিয়ে এবার বামেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে লড়াই করবেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। দলের অপর নেতা বাদল চৌধুরীও এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। বয়স ও অসুস্থতার কারণে তাঁরা নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ না নিলেও প্রচারে একেবারে সামনের সারিতে থাকবেন। তবে সিপিআইএন রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম আসন থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হবেন।
বামফ্রন্টের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন, বামেরা ত্রিপুরাকে ভাগ করার কোনও প্রস্তাবে থাকবে না। ত্রিপুরার সংস্কৃতি, ভূগোল, ইতিহাসকে বিচ্ছিন্ন করার বিপক্ষে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তারা তিপ্রা মোথার সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন বামেরা উপজাতিদের ক্ষমতায়নের জন্য অনেক কিছু করতে পারে।
বামেরা ত্রিপুরা উপজাতি স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে। তবে প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মা আলাদা রাজ্যের দাবিতে অটল রয়েছেন।
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট ৩৬ টি আসন পায়। সিপিআইএম পেয়েছিল ১৬ টি আসন। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারি।