রঙিন ফুলকপি ও ব্রোকলি চাষে সাফল্য আসছে সুন্দরবনের মাটিতে
নিউজ ডেস্কঃ ব্রোকলি বা রঙিন ফুলকপি শুধু উপাদেয় সবজি নয়,অত্যন্ত খাদ্যগুনে ভরপুর। পুষ্টিবিদেরা ব্রকলি ও রঙিন ফুলকপি চাষে চাষীদের উৎসাহিত করছেন। এই পরিস্থিতিতেই সুন্দরবনের হিংলগঞ্জের ঈষৎ লবনাক্ত মাটিতে সফলভাবে ব্রোকলি ও রঙিন কপি উৎপাদন করলেন পাপিয়া মন্ডল। শুধু রঙিন ফুলকপি নয়,বেগুনি বাঁধাকপি চাষ করেন পাপিয়া।
সুন্দরবন হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় বেগুনি বাঁধাকপি , হলুদ ফুলকপি, ব্রকলি চাষ করে তাক লাগালেন পাপিয়া মন্ডল। নতুন ধরণের সবজি চাষের প্রতি আগ্রহ তাঁর অনেকদিনের। শুধুই রঙিন ফুলকপি নয় ব্রকলি, চায়না টমাটো, ক্যাপসিকাম, বেল পেপরসহ বিভিন্ন বিদেশি সবজির চাষ দীর্ঘদিনের নেশা সুন্দরবন অঞ্চলের হিঙ্গলগঞ্জের অন্তর্গত ১৩ নম্বর স্যান্ডেল বিলের বাসিন্দা পাপিয়া মন্ডলের।
তার দেখাদেখি এলাকার অনেক চাষিরাও তাঁর এই রঙিন ফুলকপির চাষ দেখে আগ্রহী হচ্ছেন। খবরে প্রকাশ,এই রঙিন ফুলকপি ও ব্রোকলি চাহিদা অনেক। ফলে লাভ হয় ভালো।
পাপিয়া মন্ডল নার্সারী থেকে বীজ এনে শুরু করেন এই চাষ। কৃষি দপ্তর থেকে কিছুটা মৌখিক নির্দেশিকা নিয়েই শুরু করেন। ইতিমধ্যেই তিনি কয়েক’শ রঙিন ফুলকপি ফলিয়েছেন তাঁর বাগানে। মূলত বেগুনী রংয়ের বাঁধাকপি ও হলুদ রংয়ের ফুলকপি চাষ করেছেন পরীক্ষামূলক ভাবে।
গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত লাভের আশায় রঙিন ফুলকপির চাষ করেছিলেন তারা। তবে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলে ফুলকপির আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না বলে আক্ষেপ করেন। তাঁরা এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন পার্শ্ববর্তী বাঁকড়া, হিঙ্গলগঞ্জ বাজারে। তাঁর কথায়,শুধুমাত্র উপার্জনের তাগিদে নয়, শখ মেটাতেই এই ফুলকপি চাষ।
এলাকার অনেক কৃষক পাপিয়ার থেকে এই চাষের পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে। ঠিক মতো সংরক্ষণ করতে পারলে বিদেশেও ব্রোকলি ও রঙিন ফুলকপি ও রঙিন বাঁধাকপির ভালো চাহিদা আছে।