তৃণমূলকে বিজেপির ‘লঞ্চিং প্যাড’ বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের
নিউজ ডেস্কঃ বাংলায় এতদিন দিদি-মোদীর সেটিং তত্ত্ব নিয়ে জোরদার নালিশ করা হয়েছে। এবার ত্রিপুরাতেও সেই একই নালিশ। ত্রিপুরাতেও দিদি-মোদী সেটিং কৌশল নিয়েছেন বলে অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপির ‘লঞ্চিং প্যাড’ হিসেবে যে তৃণমূল ত্রিপুরায় কাজ করেছে, সেই অভিযোগও খাঁড়া করেছে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী একহাত নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ত্রিপুরায় গিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারে। এবার ত্রিপুরাতেও লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অমিত শাহের সভার পরদিন ত্রিপুরায় মমতার সভা প্রসঙ্গে অধীর কটাক্ষ ছুড়ে দেন।
অধীর বলেন, মোদীর হাত শক্ত করতে দিদি এবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন। মোদীর হাত শক্ত না হলে দিদি বাঁচবেন না। তাই ত্রিপুরায় কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপির জয়ের পথ সহজ করে দিতে দিদির ত্রিপুরায় যাওয়া। এদিন শাহের মুখে তৃণমূল নিয়ে কোনো কথা নেই। নেই মানুষের কথা। আর মঙ্গলবার দিদি বিজেপি বিরোধিতার নাটক করবেন নির্বাচনী জনসভায়। আসলে তাঁর উদ্দেশ্য কংগ্রেসের ভোট কাটা।
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূল ত্রিপুরায় গিয়েছে কংগ্রেসের ভোট কাটতে। এর আগে গোয়ায় যে কাজ করেছে, ত্রিপুরাতেও তারা একই কাজ করতে গিয়েছে। মেঘালয়েও একই কাজ করছে। আসলে তৃণমূলের কাজই হল কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপির জয়ের পথ সুগম করে দেওয়ায়।
কংগ্রেসের পক্ষে জানানো হয়েছে, তৃণমূল বিজেপির লঞ্চিং প্যাড হিসেবে কাজ করেছে ত্রিপুরায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভেঙে ইউনিট গড়ে সেই পুরো ইউনিটটাই বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবারও বিজেপিকে সাহায্য করতে ত্রিপুরাতে গিয়েছে। ত্রিপুরায় গিয়ে কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতে চায় তারা।
অধীর চৌধুরী বলেন, এটাই হল মোদী-দিদির সেটিং। রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসকে ভেঙে বিজেপিকে শক্তিশালী করে তোলো। তাহলে এ রাজ্যে দিদি নিরাপদ। দিদির গায়ে কোনও আঁচড় লাগবে না। তা না করলেই বিপদ। তাই গোয়া, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে ইউনিট খোলার নামে বিজেপির পথ মসৃণ করছে।
তৃণমূলের বিজেপি বিরোধিতাকে মেকি বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। আদানি ইস্যুতে সমস্ত বিরোধী দল যখন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদের পন্থা নিয়েছে, তখন তৃণমূল তা এড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূল চাইছে না বিজেপিকে চটাতে, চাইছে না আদানিকেও হাতছাড়া করতে। ভরাত জোড়ো যাত্রার মতো আদানি ইস্যুতেও দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস।