Valentines Day 2023: ভ্যালেন্টাইনস ডে(১৪ ফেব্রুয়ারি) – প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের এক টুকরো ছবি
নিউজ ডেস্কঃ এমনিতে ইসলামিক সম্প্রদায় নারী স্বাধীনতায় ততটা বিশ্বাসী নয়। তাছাড়া ‘প্রেম’ অনেক ইসলামিক কান্ট্রিতেই ব্রাত্য। ফলে পৃথিবীর বহু দেশে ভ্যালেনটাইন্স ডে পালন করা নিষিদ্ধ। তার বেশিরভাগ দেশই ইসলামিক কান্ট্রি। কিন্তু বাংলাদেশ এ বিষয়ে ব্যতিক্রম।
ওই দেশে আড়ম্বরের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে(১৪ ফেব্রুয়ারি) পালিত হয়। বাংলা দেশে ‘যায় যায় দিন’ পত্রিকার সম্পাদক শফিক রহমানের উদ্যোগে প্রথম ১৯৯৩ সালে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালিত হয়। বিদেশে ছাত্র-জীবন কাটিয়ে বিশ্বায়নের প্রভাব মেখে দেশে ফিরে তিনি বিশ্ব সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলা দেশেকে মেলাতেই চালু করেন ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ উৎসব।
ওই দেশে শুধু তরুণ-তরুণীদের জন্য নয়, সমস্ত বয়সের মানুষের জন্যই পালন করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে। বাংলাদেশে তাকে ভালোবাসা দিবসের জনক বলা হয়। এই দিনে, বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষ প্রেমিক প্রেমিকা, বন্ধু বান্ধবী, স্ত্রী এবং স্বামী, মা এবং সন্তান, ছাত্র এবং শিক্ষক ফুল, চকলেট, কার্ড এবং অন্যান্য জিনিস আদান প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এই দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রসমুহ কানায় কানায় পূর্ণ থাকে।
বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে বিভিন্ন ফুলের দোকান, ফ্যাশন হাউজ, উপহারএর দোকান, বেকারি ও ফাস্ট ফুড দোকানগুলোতে বিশেষ কিছু অফার চালু রাখে। তাছাড়া টেলিভিশনের বিভিন্ন চ্যানেলগুলোতে “ভালোবাসা দিবসের গান”, “ভালোবাসা দিবসের নাটক” ইত্যাদি প্রচারিত হয়।
এই উৎসবে জড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থা ‘ক্লোজআপ’। “ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প” ১৪ ফেব্রুয়ারি খুব বিখ্যাত। যেখানে ক্লোজআপ টুথপেস্ট ব্র্যান্ড হতে স্পন্সরকৃত তিনটি রোমান্টিক নাটক প্রচারিত হয়। এই নাটকের মূল গল্পগুলো মূলত সাধারণ জনগণ বা দর্শকেরা নিজেরাই লেখেন, এর মধ্যে মনোনীত তিনটি গল্পের আলোকে এই নাটকগুলি নির্মিত হয়।
এই আয়োজনটি দর্শকমহলের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে ভালোবাসা দিবস পালনের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তরুণ সমাজের কাছেই সীমাবদ্ধ নয়, এই ভালোবাসার উৎসবে সব বয়সের শ্রেণী-পেশার মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেন।