তৃণমূল জিতলে উন্নয়ন যজ্ঞ হবে, বিজেপি জিতলে মূল্যবৃদ্ধি হবে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
নিউজ ডেস্কঃ তৃণমূল একমাত্র দল যাঁরা বুক চিতিয়ে লড়াই করে। ভোটের আগে ফের ত্রিপুরায় সভা করে বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বিজেপিকেই নয়, একই সঙ্গে তিনি নিশানা করলেন কংগ্রেস ও সিপিএম তথা বামফ্রন্টকেও।
অভিষেক বলেন, “বাংলায় যা করেছি, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এলেও তা করে দেখাব। ত্রিপুরায় নির্বাচনী জনসভা থেকে চ্যালেঞ্জ নিলেন অভিষেক। তৃণমূল জিতলে গৃহবধূদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। ত্রিপুরাতেও বাংলার মতো কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী হবে। হবে সবুজসাথী, ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্প। ত্রিপুরায় জিতলে স্টুডেন্ট ক্রেডিক কার্ডও করে দেবে তৃণমূল।”
এরপরই তিনি বিজেপির সঙ্গে তুলনা করেন তৃণমূলের। তিনি বলেন,” তৃণমূল ডিতলে যেমন উন্নয়ন যজ্ঞ হবে, বিজেপি জিতলে মূল্যবৃদ্ধি হবে। গ্যাসের দাম ১২০০ টাকা হবে। পেট্রল, ডিজেলের দাম হবে ১০০ টাকারও বেশি। তাই আপানারাই বেছে নেন, আপনারা কাকে চান। হেঁসেলে নাভিশ্বাস তোলা বিজেপিকে নাকি, নাকি কন্যাশ্রী-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের রূপায়ণ করা তৃণমূলকে।”
তিনদিন আগেই ত্রিপুরায় সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ফের এদিন ত্রিপুরায় সভা করে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর আহ্বান জানালেন অভিষেক। তিনি বলেন,” কংগ্রেস বা সিপিএম কেউই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না। একমাত্র লড়াই করতে পারে তৃণমূল।
সেই কারণে বিজেপি শুধু তৃণমূলকেই ভয় পায়। কংগ্রেস বা সিপিএম কিংবা অন্য কোনও বিরোধী দলকে বিজেপি ভয় পায় না। বাংলায় আমরা বিজেপির ফুল টিমকে হারিয়েছি। বিজেপি জানে কত শক্ত ঠাঁই তৃণমূল। তাই আমরা ভিনরাজ্যে ভোট লড়াইয়ে নামায় বিজেপি ভয় পেতে শুরু করেছে।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিপিএম ২৫ বছরে যা না ক্ষতি করেছে, তার থেকে বহুগুণ ক্ষতি শেষ পাঁচ বছরে করেছে বিজেপি। তাই ত্রিপুরার মানুষ বিজেপি জমানার পরিবর্তন চাইছে। ৫ বছরেই ত্রিপুরার মানুষের জীবন নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরা মানুষ আর ডাবল ইঞ্জিনের ভাঁওতায় ভুলছে না।”
অভিষেক বলেন,” ত্রিপুরা বিজেপির আমলে কোনও গণতন্ত্র নেই। সভা করার মতো পরিস্থিতি নেই। সভার জায়গা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আওতায় আছি বলে, সম্ভব হচ্ছে সভা করা। সিপিএম আমলের থেকেও খারাপ পরিস্থিতি এখন ত্রিপুরায়। ডাবল ইঞ্জিন সরকার এসে পরিস্থিতে আরও জটিল করে দিয়েছে ত্রিপুরা।”
তিনদিন আগে আগরতলায় ৫ কিলোমিটার পদযাত্রা করার পর সভা করেছিলেন মমতা ও অভিষেক। সেদিন অভিষেক বলেছিলেন,” বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন মানে ইডি আর সিবিআই। কেন্দ্র আর রাজ্য মিলে দুর্নীতি করবে। দুয়ারে গুন্ডা পাঠাবে। আমরা সরকারে এলে দুয়ারে সরকার পাঠাব। বাংলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, তার ভাগও ত্রিপুরা পাবে।”