বিচারপতির ডাকে তড়িঘড়ি আদলতে ছুটে আসলেন হাওড়ার SI
নিউজ ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেন নি হাওড়ার স্কুল পরিদর্শক(SI)। এতেই প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। তিনি নির্দেশ দেন আধঘন্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির হতে পারেননি ওই স্কুল পরিদর্শক।
হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবী উপস্থিত হয়ে জানিয়েছিলেন, এখনই তাঁর মক্কেলের আদালতে আসার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা রয়েছে। কারণ, হাওড়ার স্কুল পরিদর্শক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে রয়েছেন। যদিও তা মানতে রাজি হননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর ধমক খেয়ে শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও হাই কোর্টে পৌঁছন পরিদর্শক। তিনি তড়িঘড়ি এসে জানান পাঁচলায় মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে আদালতে সরাসরি এসেছেন বলে অফিসে যেতে পারেন নি। তাই প্রয়োজনীয় নথি আনতে পারেন নি। শুক্রবার বেলা ১২ টায় পরবর্তী শুনানি।
বৃস্পতিবার তিনি উপস্থিত না হওয়ার জাস্টিস গাঙ্গুলি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে পোনে তিনটে নাগাদ নির্দেশ দেন আধ ঘন্টার মধ্যে তাঁকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। তা নাহলে পুলিশকে বলবো তাকে গ্রেফতার করতে। তখনই তাঁর আইনজীবী বলেন,তিনি এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করছেন।
এতে আরো ক্ষোভ প্রকাশ করে জাস্টিস গাঙ্গুলি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আছেন না কি?’’ ওই আইনজীবী জবাবে বলেন, ‘‘না। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে। সম্ভবত হাওড়ার পাঁচলাতে ওই বৈঠক হচ্ছে।’’ এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলার স্কুল পরিদর্শক কেন মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে রয়েছেন? তাঁর সেখানে কী কাজ?’’ আইনজীবী বলেন, ‘‘সেটা জানা নেই।
তা হলে বলছি আসতে।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হ্যাঁ। সেটাই করুন।” SI আসলে গাঙ্গুলি বলেন,”সব জেলা নথি পাঠিয়ে দিয়েছে, আপনি কেন পাঠান নি? শুক্রবার দুপুরে ফের ১২টায় মামলাটি রয়েছে। তার আগে পাঠিয়ে দেবেন। আর যদি আগে পাঠিয়ে থাকেন, আবার ফের পাঠিয়ে দেবেন।” তখনকার মত সম্মতি জানিয়ে SI স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।