প্রকৃতির রোষে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার
নিউজ ডেস্ক::১৯৩৯ সালের পরে এবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই দুই দেশের মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। এর আগে ১৯৩৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে মৃত্যু হয়েছিল ৩৩ হাজার মানুষের। এবারের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা আরো বেশি। ১৯৩৯ সালে রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের পরিমাপ ছিল ৭.৮ আর এবছরও ৭.৮ । কিন্তু জনঘনত্ব বৃদ্ধির কারণে ও অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজের জন্য এবছরের ভয়াবহতা অনেক বেশি। সরকারি খবর অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮১ জনের। যদিও বেসরকারি সূত্রে আরো বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সরকারিভাবে শুধু তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৬০৫ জনের ও সিরিয়ায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৫৭৬ জন। সমস্ত পৃথিবীতে শোকের পরিবেশ নেমে এসেছে।
এই ভূমিকম্পের প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণসামগ্রী ও উদ্ধারকারী দল উপস্থিত হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। ভারত কালবিলম্ব না করে প্রচুর ত্রাণসামগ্রী সহ শতাধিক উদ্ধারকারী দলকে পাঠিয়েছে তুরস্কে। কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অভিযান বন্ধু’। সীমাহীন কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে তুরস্ক সরকার। কিন্তু পাকিস্থান তাদের আকাশ ব্যবহার করতে না দেওয়ায় অনেকটা পথ ঘুরে ভারতকে যেতে হয়েছে। ভারতীয় উদ্ধারকারী দল বহু মৃতদেহ উদ্ধার করে তুলে দেয় তুরস্ক সরকারের হাতে। প্রায় তিনদিন পরে ধ্বংস্তূপের মধ্য বেঁচে থাকা এক তরুণীকে উদ্ধার করে ভারতীয় দল। এছাড়াও একাধিক জীবিত শিশুকে ভারতীয় দল উদ্ধার করেছে।
তুরস্কের ভূমিকম্পের পরে একাধিক অলৌকিক ঘটনায় বিস্মিত বিশ্ববাসী। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক কিশোরীকে ১৪৭ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীর নাম কুডি।উদ্ধারের পর কুডিকে উদ্ধারকারীরা বলেন, ‘তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।’ এর আগেও ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা।তার আগে হাতায় শহর থেকে ১২৮ ঘণ্টা পর দুই মাসের এক শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।তারও আগে ১২২ ঘণ্টা পর দুই বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আমরা আমাদের সংস্কার অনুযায়ী বলেছি “রাখে হরি, মারে কে?”