বিধানসভায় বিজেপিকে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের !
নিউজ ডেস্কঃ বাজেট অধিবেশনে বিধানসভায় ভাষণ, সেখান থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একদিকে যেমন তিনি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে অপমান করার জন্য আক্রমণ করেছেন, অন্যদিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করতেও আহ্বান জানিয়েছেন।
দিল্লির সরকারকে জনগণের সরকার বলতে তিনি রাজি নন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে জনগণের সরকার আনতে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি অনেক নিচে নেমেছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর তরফে দাবি করা হয়েছে, সেখানে অমর্ত্য সেনের কাছে ১.৩৮ একর জমি রয়েছে। তবে তার মধ্যে ১.২৫ একর অমর্ত্য সেনের নামে। বাকি ১৩ ডেসিমেল জমি নিয়েই চলছে বিতর্ক। সম্প্রতি এই অংশের জমির নাম পরিবর্তন করতে ভূমিসংস্কার দফতরে আবেদন করেছেন অমর্ত্য সেন।
অমর্ত্য সেন বারে বারে তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখল করে রাখার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা সেই জমি পেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতমাসের শেষের দিকে বীরভূম জেলা সফরে গিয়ে অমর্ত্য সেনকে জমি সংক্রান্ত কাগজ হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রবিবার দুটি সভা থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাবি করেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য রাজ্যের তুলনায় ভাল।
মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় অভিযোগ করে বলেছেন, বিএসএফ সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এরা সীমান্ত এলাকার নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেন, এইসব ঘটনার তদন্ত করে দেখতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসে না।
সম্প্রতি কেন্দ্রের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে গোমাতাকে আলিঙ্গন করতে বলা হয়েছিল, যদিও পরে তা তুলে নেওয়া হয়। এব্যাপারে কটাক্ষ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গরু কোনও ব্যক্তিকে আঘাত করলে কিংবা মারলে তারা (বিজেপি) কি কোনও ক্ষতিপূরণ দেবে?
সোমবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য পেশ করার সময় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এবং পরে তাঁর বক্তব্য বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া নির্দেশকে ঘিরে বিধানসভায় ব্যাপক হইহট্টগোল হয়।
বিজেপি সদস্যরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব আনার পরেও
তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।