এই বাজেট ট্রেডমিলে তৈরি করা। ৩০ মিনিটেই যা শেষ হয়েছে : কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর
নিউজ ডেস্ক::বাজেটে রাজ্যে জ্বলন্ত ইস্যু কিংবা আকাঙ্খা পূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে রাজ্যের অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনা ফুটে উঠেছে। বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা বলা হলেও, সেখানে স্পষ্টত কোনও উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবারের বাজেটকে নিরর্থক অনুশীলন বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাজেটে অনেকগুলি ছিদ্রপূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা বলেছেন, ডিএ নিয়ে ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি রয়েছে। সেখান থেকে বাঁচতেই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার ভিতরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এই বাজেট একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবে না, অন্যদিকে তা বেকারত্বও দূর করতে পারবে না। বেকারদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে যে বিপুল পরিমাণ পদের অবলুপ্তি করা হয়েছে, কিংবা ফাঁকা রয়েছে, সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। দু কোটির ওপরে বেকারের দিশা কী হবে, সেব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে চিকিৎসা করা যায় না বলে অভিযোগ করে, এব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
চা-বাগান নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু নেই। সেগুলিকে শাসকবন্ধু শিল্পপতিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাট্টা দেওয়ার বিষয়েও কিছু নেই। পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিকে নিয়েও কোনো কথা বাজেটে নেই। জনজাতি অধ্যুষিত জেলাগুলিতে একলব্য বিদ্যালয় খোলা নিয়েও কিছু বলা হয়নি। চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। বাজেটে এমএসএমইর কথা বলা হলেও, বড় শিল্পের কথা বলা নেই। বাজেটে তাজপুর বন্দর নিয়ে কোনও কথা নেই। কেন নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাজেটে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে কীভাবে কাজ দেওয়া যায়, তার কথা বলা নেই।
শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেছেন, এই বাজেট ট্রেডমিলে তৈরি করা। ৩০ মিনিটেই যা শেষ হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের সামগ্রিক কোনও কথা রাখা হয়নি। বাজেট সমাপ্ত হওয়ার পরে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী উঠে বলতে চাইছেন, প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেছেন, বাজেটে দেউটা-পচামির কথা বলা হলেও, সেই কয়লা তুলে কোথায় যাবে, তা বলা হয়নি।