ডিএ বিতর্কে বার্তা দিয়ে উন্নয়নের দিশা দেখালেন মমতা
নিউজ ডেস্ক::বিজেপির বঞ্চনা সত্ত্বেও এবার বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তারপরও সরকারি কর্মীরা যেভাবে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন, তা ঠিক নয়। বাঁকুড়ার মঞ্চ থেকে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তিনি বার্তা দিলেন। একইসঙ্গে রাজ্যে উন্নয়নের দিশাও দেখালেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, আমি রাজ্যের সামর্থ্য অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের ডিএ দিয়েছি। সমস্তরকমভাবে সরকারি কর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তারপরও যেভাবে ডিএ-র দাবিতে সরব হচ্ছেন কর্মীরা, তাতে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমি তো আর ম্যাজিসিয়ান নই। আমি ম্যাজিসিয়ানের মতো টাকা এনে দিতে পারি না।
আমাদের রাজ্য থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের সরকার। অথচ বাংলাকে বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। সেইসব প্রকল্প আমাদের বিকল্প উপায়ে চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এখন সরকারি কর্মীরা এভাবে নাছোড়বান্দা দাবি নিয়ে বসে থাকলে কী করব আমি। সরকারি কর্মীদের তো বুঝতে হবে বিষয়টি।
মমতা বলেন, কেন্দ্রের দীর্ঘ বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ৫ বছরে ১০ লক্ষ মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর কাজ করছি। নারী ক্ষমতায়নে বাংলা এক নম্বরে। সেই ধারা বজায় রেখে আমরা কর্মংস্থানে জোর দিয়েছি। রঘুনাথপুরে বিরাট ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরি হচ্ছে।
মমতা বলেন, উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে। সড়ক নির্মাণে ৩২০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। বাঁকুড়ায় সড়ক উন্নয়নেও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেওয়া হয়েছে জলস্বপ্ন প্রকল্প। এই প্রকল্পে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। গঙ্গাজনঘাটিতে তৈরি হচ্ছে এই জল প্রকল্প।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই মর্মে গর্জে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার মানুষেরা ভিক্ষা চায় না, অধিকার চায়। কেন বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়ক যোজনার জন্য টাকা দেবে না ওরা। ওটা আমাদের টাকা। আমাদের টাকাই ওরা নিয়ে যাচ্ছে, আর দিচ্ছে না। বলছে ভাতে মারব।
বাঁকুড়ায় মানুষের জয়গান গেয়ে মমতা বলেন, রাজ্য থেকে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্রের সরকার, তারপর রাজ্যকেই বঞ্চিত করে। ওরা ওবিসিদের স্কলারশিপ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই জেলায় দু’জন সাংসদ থাকলেও কোনো কাজ করেননি। বাঁকুড়ার জন্য বিজেপি কিছু করেনি। বাঁকুড়ার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আপনার মাটিতেই সব কিছু আছে। কেন্দ্রের ভিক্ষার উপর নির্ভর করে থাকবেন না। কারণ আপনারাই স্রষ্টা।