আগামীকাল পাহাড় বনধ স্থগিত ঘোষণা বিনয় তামাং-য়ের
নিউজ ডেস্ক : আগামীকাল পাহাড় বনধ হচ্ছে না। ঘোষণা করলেন বিনয় তামাং। আগামীকাল ১২ ঘণ্টার পাহাড় বনধের ডাক দিয়েছিল হামরো পার্টি এবং জেজিএম। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। সেকথা বিবেচনা করেই আগামীকালের পাহাড় বনধ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে অনশন কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়েছে।
আগামীকালের বনধ প্রত্যাহার করে নিলেন বিনয় তামাং। আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বনদের ডাক দিয়েছিলেন বিনয় তামাং গোষ্ঠী। বিধানসভায় উত্তরবঙ্গ ভাগ বিরোধী প্রস্তাব পাসের প্রতিবাদেই এই বনধের ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন বিনয় তামাং। তিনি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাহাড়ে এখন পর্যটনের মরশুম। হঠাৎ করে বনধ ডাকলে তাতে ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
গতকাল জলপাইগুড়িতে সরকারি কর্মসূচি প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিনয় তামাংদের। তিনি বলেছিলেন, কোথাও কোনও বনধ হবে না। বনধ উঠে গিয়েছে বাংলা থেকে। বনধ হতে দেওয়া যাবে না। নাম না করেই বিনয় তামাংয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা তিনি কিছুতেই সফল হতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বাংলা ভাগের যে চক্রান্ত চলছে সেটা কোনও ভাবেই তিনি হতে দেবেন না। বাংলা এক ছিল একই থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার মধ্যে হঠাৎ করে পাহাড়ে বনধ ঘোষণা করায় উদ্বেগ বেড়েছিল। মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি টেলিফোনে কথা বলেছিলেন বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে। তারপরেই বনধের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছিল স্কুল , কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। এবং মেডিকেল পরিষেবাকে। কিন্তু তাতেও বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছিল । পাহাড়ে প্রায় ৯০০০ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
বনধ না করলেও অনশন তাঁরা চালিয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙের ম্যালে মঞ্চ করে অনশন শুরু করেছেন জিটিএ বিরোধী ৯ সদস্য। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শুধুমাত্র দার্জিলিঙের জন্য ২০০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে দার্জিলিং পুলিশের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই প্রশাসন আরও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।