‘যেকোনো মুহূর্তে আমি খুন হয়ে যেতে পারি ‘- কাজল শেখ
নিউজ ডেস্ক : নিন্দুকেরা বলেন,বীরভূমের দ্বিতীয় শক্তিশালী বাহুবলী হলেন কাজল শেখ।শাসক দলের অবিসংবাদিত নেতা। কিন্তু অনুব্রতর সঙ্গে চির শত্রুতা। এহেন কাজল শেখ প্রকাশ্য সভায় বললেন, যেকোনো মুহূর্তে তিনি খুন হয়ে যেতে পারেন। আর এহেন মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড়। খোদ শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা প্রাণনাশের আশঙ্কা করলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
শুধু তাই নয়, যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানে কীভাবে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন কাজল শেখ? তা নিয়েও প্রশ্ন বিজেপি সহ বিরোধীদের। কাজল অনুব্রতর দিকে আঙ্গুল তুলছেন। ভাবছেন জেলে বসেই হয়তো তাঁকে খুনের ছক করছে অনুব্রত।
ইতিমধ্যে কাজল শেখ প্রকাশ্যে বলেছেন যে তার কাছে খবর আছে, অনুব্রত জেলে বসেই ফোনের মাধ্যমে বীরভূমের রাজনীতি পরিচালনা করছে। সেখান থেকেই তাঁর এই আশঙ্কা। মঙ্গলবার বোলপুরে কঙ্কালীতলা এলাকাতে তৃণমূলের এক জনসভায় যোগ দেন হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কাজল শেখ বলেন, আমি যখন বাড়ি থেকে বের হই সেই সময়ে আমার গর্ভধারিণি মা আমার মাথায় তিনটে চুমা দেয় ! কেন দেয় তা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বলছেন, উনি ভাবেন হয়তো আমার ছেলেটা আর বাড়ি ফিরে আসবে না। কারণ আমার ঘরে শত্রু বাইরে শত্রু। আমি জানি যে কোন মুহূর্তে যে কোন স্থানে আমার প্রাণের বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে বিস্ফোরক দাবি কাজল শেখের। কাজল শেখের এই ইঙ্গিত যে অনুব্রতর দিকে তা সকলেই বুঝতে পারছে।
অনুব্রত ও কাজলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। ঘটনাচক্রে এতদিন তৃণমূলের সুপ্রিমো ছিলেন অনুব্রতর পক্ষে। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। কঙ্খালিতলায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে নাম না করে এদিন অনুব্রত মণ্ডলকেও একহাত নেন কাজল শেখ। বলেন, আমার সামনে কোন হরিদাস পাল আছে তা আমার দেখার দরকার নেই।
মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অনুসরণ করে চলি আর সত্যের পথে থাকি বলেও এদিন মন্তব্য শোনা যায় তৃণমূল নেতার মুখে। কিন্তু খোদ প্রভাবশালী কাজল শেখ প্রাণনাশের আশঙ্কা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। এখন দেখার কাজলের আশঙ্কা কতদূর সত্য।