নারদ মামলায় নগর দায়রা আদালতে হাজিরা!
নিউজ ডেস্ক:: নারদ মামলায় নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র। এদিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর কেস দীর্ঘায়িত হওয়া নিয়ে গর্জে উঠলেন শোভন। তিনি প্রশ্ন তুললেন, নারদ মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে?
রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগে এবার সরব হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, নারদ মামলায় তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আমাদের কোনো যোগসূত্র নেই, তবুও এই মামলার শেষ হচ্ছে না। কেস মিটে গেলে আমারও মুক্তি ও সবার মুক্তি।
শোভনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন কেসের দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এর মধ্যে কি রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে? তিনি বলেন, কোনো সত্যতা নেই। চক্রান্ত চলছে। যারা এই মামলা করেছিল তারাই বলতে পারবে চক্রান্তের বিষয়টি। তবে এদিন নগর দায়রা আদালতে তাঁদের হাজিরা নিয়ে বিতর্ক হয়। বিচারক প্রশ্ন তুলে দেন তাঁদের নিয়ে।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় সময় পৌঁছলেও মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকে নারদা মামলায় দেরিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য ভর্ৎসনা করেন বিচারক শুভেন্দু সাহা। তিনি বলেন, কত বড় ভিআইপি যে, আপনাদের জন্য বিচারককে বসে থাকতে হবে? নগর দায়রা আদালতের বিচারক মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমকে ভর্ৎসনা করেন।
এদিন আদালতে প্রবেশে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, বাড়ি থেকে বেরোনোর পথে পিজিতে প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম ছিল। তাই দেরি হয়েছে। দেরি হওয়ার জন্য আমি নিজেই লজ্জিত। এদিন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর তরফ থেকে সিজ করা ডকুমেন্টগুলোর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এই মামলাটি যেহেতু হাই কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, তাই আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কবে, কবে ফিরবেন রাজনীতির মেনস্ট্রিমে। তার প্রত্যুত্তরে শোভন বলেন, তিনি রাজনীতির মেন স্ট্রিমের মানে বোঝেন না। তারপর বলেন সময় হলেই সব দেখতে পাবেন। এত তাড়াহুড়ো কীসের। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নন্দীগ্রাম ইস্যুতে মুখ খুলে শুভেন্দুর সমালোচনা করে দিদির পাশে দাঁড়ানোয় জল্পনা শুরু হয়েছিল তাঁর রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে।
এদিন আবার রাজ্যপাল প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, অনুরোধ করবো কালী পুজোয় পারলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি যাবেন। ওখানে গেলেই ডিরেক্ট আপনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। রাম ভগবান ছিলেন। রাম জানতেন সোনার হরিণ হয় না। লক্ষণ বলেওছিল, ওটা সোনার হরিণ নয়, মরিচ। রাজ্যপালকে মরিচ ছদ্মবেশে পাঠানো হয়েছে কি না, দেখতে হবে।