গ্রেফতার হওয়া কৌস্তভ বাগচির পাশে বিকাশ-নৌশাদ-বিশিষ্টজনেরা
নিউজ ডেস্ক::ব্যারাকপুরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচিকে। তাঁর বিরুদ্ধে বড়তলা থানা ভারতীয় দ্বন্দ্ববিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে শ্লীলতাহানি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারাও আনা হয়েছে। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলার আগে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কৌস্তভ বাগচিকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে।
কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচিকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আইনজীবী তথা সিপিআইএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্যের জন্যই এই গ্রেফতার। আর কটাক্ষ, আবারও প্রমাণ হল মোদী-যোগী মমতা এক বাগানের ফুল। অবিলম্বে কৌস্তভ বাগচির মুক্তির দাবি করেন তিনি। কলকাতা পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করেছে তাতে স্বৈরাচারের যাবতীয় লক্ষণ ফুটে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী যা খুশি বলতে পারেন, তা রা বিরুদ্ধে অন্য কেউ কিছু বললেই গ্রেফতার। কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারের বিরোধিতা করেছেন সদস্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও।
বিশিষ্টজনেদের একাংশ কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যেভাবে ভোরে কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গিয়েছে কলকাতা পুলিশ, তাতে পুলিশের দমনমূলক আচরণকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বলেছেন মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র। অন্যদিকে, তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যজিত রায়ের ‘মুকুল’কে শেয়ার করে জেলে যাওয়া অধ্যাপদ অম্বিকেশ মহাপাত্র বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্বৈরতন্ত্রকে অনুসরণ করছে। এই সরকার বিরোধী কণ্ঠকে রোধ করতে চায় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এই গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র।
কৌস্তভ বাগচির গ্রেফতারির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অনেক কিছু গোপন জিনিস সামনে আনা হয় না। এক্ষেত্রে সৌজন্য বোধের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে সীমার মধ্যে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কৌস্তভ বাগচির আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি কৌস্তভ বাগচিকে বটতলা থানায় নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে হাজির হন। বটতলা থানায় এক ব্যক্তির অভিযোগ দায়েরের পরেই কৌস্তভ বাগচিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে অভিযোগকারীর নাম উল্লেখ না করলেও, তিনি বলেন, অভিযোগ অনুযায়ী ২৪ বছরের পুরুষের শ্লীলতাহানি করেছেন কৌস্তভ বাগচি। তিনি বলেন, ধারা দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশের লঙ্ঘন করেছে।