মেঘালয়ে সরকার গঠনে ‘অচলাবস্থা’!
নিউজ ডেস্ক::মেঘালয়ে পরবর্তী সরকার গঠন নিয়ে খানিকটা বাধা তৈরি হয়েছে। ভোটের ফলের মতি-গতি দেখেই মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা অমিত শাহ এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে কথা বলেন। একটি আঞ্চলিকদলের দুই বিধায়ক প্রথমে কনরাড সাংমাকে সমর্থনের কথা জানালেও, পরে তারা তা প্রত্যাহার করেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সূত্রেই এনপিপির পরবর্তী সরকার গঠনের দাবিও খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হচ্ছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মেঘালয় বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৬০। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৩১ টি আসন। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা ৩২ বিধায়কের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি রাজভবনে জমা দিয়ে সরকার গঠনের দাবি তুলেছিলেন। সেই মতো ৭ মার্চ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কনরাজ সাংমার চিঠিতে এনপিপির ২৬ বিধায়ক ছাড়াও, বিজেপির ২, হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির ২ এবং দুজন নির্দল বিধায়কের কথা বলা হয়েছিল। আর রাজভবনে সরকার গঠনের দাবির চিঠি জমা দেওয়ার পরে কনরাড সাংমা বলেছিলেন, বিজেপি তাদের সমর্থন দিয়েছে এবং অন্য অনেকে তাদের সমর্থন দিয়েছে।
কিন্তু বিকেল গড়িতে রাত হতেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা তাদের দলের দুই বিধায়ককে এনপিপিকে সরকার গঠনের জন্য সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনও অনুমতি দেয়নি।
এনপিপির সভাপতি তথা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে এব্যাপারে চিঠি দেয় হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি। সেখানে বলা হয় এইচএসপিডিপির দুই বিধায়ক মেথোডিয়াস ডখার এবং শাকলিয়ার ওয়ারজরির সমর্থনে সরকার গঠনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এনপিপির ওপর থেকে যে এইচএসপিডিপি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয় চিঠি দিয়েই। এই চিঠির একটি কপি রাজ্যপালের কাছেও পাঠানো হয়। স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি পাঠানো চিটি নিয়ে এনপিপির কাছ থেকে এব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, তারা দাবি করেছে, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন তাদের কাছে রয়েছে।
অন্যদিকে মেঘালয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠনের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে। এদের উদ্দেশ্য হল এনপিপিকে ক্ষমতায় ফিরতে বাধা দেওয়া। ইউডিপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এইএসপিডিপি, পিডিএফ এবং ভিপিপির নেতা এবং বিধায়করা এব্যাপারে আলোচনা করেন। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে এইএসপিডিপির দুই বিধায়ক প্রথমের দিকে উপস্থিত থাকলেও পরে তারা চলে যান। এই বৈঠকটি হয় আগেকার এনপিপি নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাকমেন রিম্বুইয়ের বাড়িতে।
যেসবদল যুক্তফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করছে, তাদের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। এর মধ্যে ইউডিপির ১১ জন, কংগ্রেস ও তৃণমূলের পাঁচজন করে, ভিপিপির ৪ জন, এইচএসপিডিপির ২, পিডিএফ-এর দুই জন বিধায়ক। বৈঠকের পরে তৃণমূলের মুকুল সাংমা বলেন, রাজ্যের মানুষ সরকার পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিলেও, তা পরিষ্কার নয়। এখন সবকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব দুর্নীতি মুক্ত সরকার তৈরি করা।