“মমতা সবথেকে বড় গদ্দার”:শুভেন্দু অধিকারী
নিউজ ডেস্ক::মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার সরাসরি গদ্দার বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে সবথেকে বড় গদ্দার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ চিনতেন না, তাঁকে চিনিয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। এখন রাজীব গান্ধীর দলের নেতাদেরই তিনি গ্রেফতার করাচ্ছেন অন্যায়ভাবে।
শুভেন্দু বলেন, রাজীব গান্ধী যেমন তাঁকে রাজনীতিতে চিনিয়েছিলেন তেমনই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। রাস্তায় ঘুরছিলেন, সেখান থেকে অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন। তিনি রাজীব গান্ধী, বাজপেয়ী উভয়ের সঙ্গেই গদ্দারি করেছেন। তাঁকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি আমি। ১৯৫৬ ভোটে।
তিনি বলেন, একুশের বিধানসভায় দল আমাকে একটা দায়িত্ব দিয়েছিল, তা পালন করে দেখিয়েছি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর একটা দায়িত্ব দিয়েছে জনগণ। মমতা বন্যো্যপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার, সেই দায়িত্বও পালন করব। মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করবই। এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।
শুভেন্দুর কথায়, আর আমি যখন তাঁকে নন্দীগ্রামে হারালাম মুখ্যমন্ত্রী হতে তিনি ভবানীপুরে দাঁড়ালেন। একটা জ্যান্ত মানুষকে সরিয়ে তিনি ভবানীপুরে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখার জন্য। সেই নির্বাচনে অধীর চৌধুরী বললেন, কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবে। এখন অধীর চৌধুরীর দলের নেতাকে গ্রেফতার করছে। এই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি কংগ্রেসে নেতা কৌস্তভকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছিল সিপিএমের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। আপনারাই তো আওয়াজ তুলেছিলেন না! ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এখন দেখছেন তো কেমন লাগছে। আপনারা যদি ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বলতেন বা জনগণের উপর ছেড়ে দিতেন, তাহলে হয়তো এমন দিন দেখতে হ’ত না।
এরপর শুভেন্দু বলেন, দেখলেন তো সাগরদিঘিতে কেমন হারল তৃণমূল। এখানে কংগ্রেস জিতেছে তাতে আমি এতটুকু উৎসাহিত নই। কিন্তু আমি খুশি এই কারণে যে, তৃণমূল হেরেছে। তৃণমূল হেরেছে তাই আমি খুশি। সংখ্যালঘুরা বুঝতে পারছেন এই সরকার শুধু তাদের ব্যবহার করছে, তাঁদের পাশে থাকছে না। শুধু ঢপ দিয়েই সংখ্যালঘুদের ভোট নিতে চায় তৃণমূল। তাই সংখ্যালঘুরা সরে আসছেন তৃণমূল থেকে।
শুভেন্দু আরও বলেন, বাংলায় ২৫ বছর কংগ্রেসকে দেখেছে মানুষ, ৩৪ বছর দেখেছে সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে। আর ১৩ বছর দেখছে তৃণমূলকে। কিন্তু এখনও দেখেনি বিজেপিকে। বাংলার উন্নয়নে একমাত্র বিকল্প বিজেপি। রাষ্ট্রবাদী বিজেপির ডাবল ইঞ্জিনই বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেষ। কারণ বাম সরকার ১ কোটি বেকার রেখে গিয়েছিল, সেখানে তৃণমূল দুকোটি বেকারত্ব উপহার দিয়েছে বাংলাকে। আর বামেরা ঋণ রেখে গিয়েছিল ২ লক্ষ কোটি, তৃণমূল এই ১৩ বছরে ঋণ করেছে মাত্র ৬ লক্ষ কোটি।