‘মুখ্যমন্ত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নেব’- কৌস্তব
নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেসের যুবনেতা তথা আইনজীবী কৌস্তব কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে। তাঁর শিরোনামে থাকার প্রধান কারণ দুর্দান্ত প্রতাপ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি এখন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেস নেতা কৌস্তবের হয়ে ব্যাংকশাল কোর্টে উপস্থিত হলে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য। আইনজীবী কৌস্তভের গ্রেফতারিতে বেনজিরভাবে একজোট হল আইনজীবী শিবির। কোর্টে তাঁর হয়ে দাঁড়ালেন প্রায় একশোজন আইনজীবী। কৌস্তভ বাগচীর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এরপর চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম! এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, কৌস্তবের উপর পুলিশি আক্রমণ ভুল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই কৌস্তব আবার বোমা ফাটিয়ে বললে,”অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর রাতের ঘুম কাড়ার আরেকটা ওষুধ আসছে।”
রাজনীতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, পুলিশমন্ত্রী কৌস্তবকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়ে ভয়ঙ্কর ভুল করেছে। কৌস্তব ছিলেন অন্তরালে। ওকে একেবারে রাজনীতির সামনে নিয়ে চলে আসলেন। লড়াকু নেতা কৌস্তব বলেন,’থেমে থাকার প্রশ্ন নেই, আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে’, জামিন পাওয়ার পরদিন সকালে ফের হুঙ্কার কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। ‘মুখ্যমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করলে, তাঁর পা ধরে ক্ষমা চাইব’, মন্তব্য কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর।
এদিকে মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরুকে নিয়ে মমতার তির্যক মন্তব্যে মতুয়া সম্প্রদায় প্রবল ক্ষুব্ধ। তারাও বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। ওদিকে নওশাদ সিদ্দিকীকে আটকে রাখতে পারলেন না। শত চেষ্টা করেও কৌস্তবের জেল হেফাজত করাতে পারলেন না। চরমভাবে ব্যতিব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক সেই সময় কৌস্তবের নতুন হুঙ্কারে সত্যি চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী।
কৌস্তব সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন,”অনেকদিন ধরেই DA আন্দোলনকারীদের সমর্থনে তাঁদের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা। কিন্তু এখন পর্যন্ত পারি নি। আজকে ডিএ-এর মঞ্চে যাব। যারা নায্য দাবী দিয়ে আন্দোলন করছে সেই প্রতিবাদকারীদের পাশে থাকব। ওঁরা বলেছিল এর আগে যাওয়ার জন্য। তাই আজ যাব। এছাড়াও দলের আভ্যন্তরীণ মিটিংও রয়েছে। কিছু পরিকল্পনা রয়েছে আগামী দিনের জন্য। আর যে বই নিয়ে এত গাত্রদাহ, সেটি কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, যাতে তা মুখস্থ হয়। সেই ব্যবস্থা করার জন্যই নতুন পরিকল্পনা নেব।” এখন দেখার, বল কোন দিকে যাচ্ছে।