১০ তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে অনুব্রত!
নিউজ ডেস্ক::মধ্যরাতে একেবারে টানটান উত্তেজনা। একেবারে গভীর রাত পর্যন্ত চলল শুনানি। আর দীর্ঘ শুনানি শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তৃণমূল নেতাকে আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
যদিও ইডির তরফে অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিচারকের বাড়িতে দীর্ঘ শুনানি শেষে মাত্র তিনদিনের জন্যে অনুব্রতকে ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ শোনায়। নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১০ তারিখ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফের অনুব্রত মণ্ডলকে তোলা হবে।
তবে ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তৃণমূল নেতার শারীরিক পরীক্ষার কথা বলেছে আদালত। তবে শুনানি চলাকালীন অনুব্রত মণ্ডল কোনও মন্তব্য করেননি। এমনকি বিচারকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়েও একাধিক প্রশ্ন অনুব্রত মণ্ডলকে করেন সাংবাদিকরা। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি বীরভূমের বাঘ। একেবারে স্পিকটি নট ছিলেন।
তবে সকাল থেকে যেভাবে দৌড়ঝাপ গিয়েছে তাঁর উপর তাতে স্পষ্ট ক্লান্তির ছাপ। ধরা পড়া ছবিতে স্পষ্ট অনুব্রত চোখ বুঝে আসছে বারবার। শরীর চলছেই না। অন্যদিকে ইডির তরফে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা গিরু পাচারে একাধিক তথ্য তাঁদের কাছে উঠে এসেছে।
এমনকি পাচারে কোটি কোটি টাকা কোথায় গেল সে বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জেরা করার প্রয়োজন বলেও এদিন আদালতে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবীরা। পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা একাধিক সওয়াল করেন। কেন হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে শারীরিক পরীক্ষা করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবীরা।
আগামীকাল বুধবার থেকে টাকা ইডির জেরার মুখে যে অনুব্রত মণ্ডলকে পড়তে হবে তা কার্যত স্পষ্ট। তবে এর আগে এদিন একাধিক নাটকের সাক্ষী থাকে দেশ! যেমন মধ্যরাতে ভার্চুয়াল শুনানি হলেও মাঝ পথেই তা থেমে যায়। আর এরপরে বিচারকের বাড়িতে শুরু হয় বাকি সওয়াল জবাবের কাজ। যা নজিরবিহীন বলছেন আইনজীবী মহলের একাংশ।
অন্যদিকে এদিন বিচারকের বাড়ি খুঁজতে রীতিমত ঘাম ছোটে ইডির আধিকারিকদের। একাধিক বাড়ির সামনে অনুব্রত মন্ডলকে নিয়ে দাঁড়ান তাঁরা। প্রায় এমন কয়েক বাড়ি ঘোরার বিচারকের বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে ইডি পৌছতে পারে বলে দেখা যায়।