জঙ্গলমহলে ১০ হাজার কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা
নিউজ ডেস্ক : কোর্টের নির্দেশে বাংলায় যখন ক্রমাগত কর্ম সঙ্কোচন ঘটছে, ঠিক সেই সময় জঙ্গলমহলে প্রচুর কর্মসংস্থানের খবর শোনালেন ক্ষুদ্র ও বস্ত্রশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে (MSME) বিনিয়োগ হতে চলেছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। এতে সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ১০ হাজার মানুষের। মঙ্গলবার জেলা শহর মেদিনীপুরের প্রদ্যোৎ স্মৃতি ভবনে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত “সিনার্জি অ্যান্ড বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন কনক্লেভ ২০২৩” এ এমনই দৃপ্ত আশ্বাস শোনা গেল রাজ্য সরকারের মন্ত্রীদের মুখে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির, মাঝারি ও বস্ত্র শিল্প দফতরের মন্ত্ৰী চন্দ্রনাথ সিনহা, দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে সহ ক্যাবিনেট মন্ত্রী (জলসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ) ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, দুই জেলার জেলা শাসক।
খবরটা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক হলেও নাগরিক মহল মনে করে ‘না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’
যখন নিয়োগ দূর্ণীতিয়ে ত্রস্ত সমস্ত সরকার,তখন মন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলের দুই জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে নতুন শিল্পোদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই সিনার্জি কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে।” মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া জানান, “বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে রাজ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৬৫ হাজার শিল্প ও কল কারখানা। শ্রমিক নেতাদের জুলুম বাজি ও অত্যাচারের জন্য বাংলা ছেড়ে চলে গেছে বহু শিল্প। আর, ২০১১ সালের পর থেকে বদলে গেছে রাজ্যের শিল্প মানচিত্র। এখন শিল্প সম্ভবনাময় রাজ্য। রয়েছে দেউচা পাচামির মতো এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা ব্লক, গভীর সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি গড়ে উঠতে চলছে আরো অনেক ভারী শিল্প। যদিও মানস বাবুর এই কথাকে মুহূর্তে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা।তাঁরা বলেন, মানস বাবু দলপাল্টু মন্ত্রী।তাই ওনাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। মানস ভুঁইয়া বলেন, জঙ্গল মহল ছিল এককালের মাওবাদীদের তালাক। এখন হতে চলেছে শিল্প তালাক।