মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল আরসিবি
নিউজ ডেস্ক::মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক এড়াল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অঙ্কের নিয়মে টুর্নামেন্টে ভেসেও রইল। আজ নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ইউপি ওয়ারিয়রজকে ১২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারাল স্মৃতি মান্ধানার দল। ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা কণিকা আহুজা।
এদিন টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। ইউপি ওয়ারিয়রজ ১৯.৩ ওভারে ১৩৫ রানে অল আউট হয়ে যায়। পাঁচটি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩২ বলে ৪৬ রান করেন গ্রেস হ্যারিস। কিরণ নবগীরে ও দীপ্তি শর্মা- দুজনেই করেন ২২ রান। এলিস পেরি ১৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। সোফি ডিভাইন ও শোভনা আশা পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। মেগান শুট ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিলের ঝুলিতে গিয়েছে একটি করে উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। পাঁচ নম্বরে খেলতে নেমে ৩০ বলে ৪৬ রান করে ম্যাচের সেরা হন কণিকা আহুজা। তিন বল খেলে কোনও রান না করেই সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি। ২১ বলে ২৪ রান হিদার নাইটের। রিচা ঘোষ ৩২ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। দীপ্তি শর্মা ২টি এবং গ্রেস হ্যারিস, সোফি এক্লেস্টোন ও দেবিকা বৈদ্য তিনটি করে উইকেট দখল করেন।
আরসিবির জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে রিচা ঘোষ বলেন, জেতার জন্য এক রান দরকার, এই অবস্থায় শ্রেয়াঙ্কাকে স্ট্রাইক দিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। হারানোর কিছু ছিল না, ফলে এনার্জি অন্যদিনের তুলনা আলাদা ছিল। শেষ অবধি জিততে পারায় ভালো লাগছে। প্রথম চার ব্যাটার আউট হওয়ার পর বেশিরভাগ সময় ক্রিজে কাটিয়ে পার্টনারশিপ গড়ায় মনোযোগী হই। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং হয়েছে। সিমারদের জন্য মুভমেন্ট ছিল, স্পিনাররাও পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছেন।
আগের ম্যাচে মোমেন্টাম থাকা সত্ত্বেও জয় আসেনি। এদিন পারফরম্যান্স ভালো হওয়ায় স্বস্তি আরসিবি শিবিরে। কণিকা ও রিচার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে মান্ধানা জানান, একটা সময় টেনশনে ছিলেন। ক্যামেরাতে তা ধরা পড়েছে। মান্ধানা বলেন, কণিকার জন্য খুব গর্বিত। অবশেষে একটা দারুণ জয় পেলাম। কণিকার অ্যাপ্রোচ অসাধারণ ছিল। ভারতীয় প্লেয়াররা অনেক বেশি টেকনিক্যাল, তার মধ্যেই কণিকার খেলা দেখতে ভালো লেগেছে। খারাপ সময়ে দলের পাশে থাকা সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মান্ধানা।