ডিএ’ চেয়ে সরকারের উপর চাপ বাড়াল কর্মীরা!
নিউজ ডেস্ক::বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনের তেজ আরও বাড়াল আন্দোলনরত কর্মীরা। অতিরিক্ত কাজ আর নয়! এমনকি আজ শনিবার থেকেই ডিজিটাল অসহযোগিতা বলেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি ইউনিয়নগুলি। বকেয়া ডিএ’র দাবিতে গত ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন কর্মীদের একাংশ।
শুধু তাই নয়, অনশনও চালাচ্ছেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া কখনই সম্ভব নয় বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে কয়েক দফায় কর্মবিরতি করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এমনকি সরকারি অফিস-স্কুলগুলিতে ধর্মঘটও হয়েছে। কিন্তু ডিএ নিয়ে সরকারের মনোভাব কড়া। এই অবস্থায় আজ থেকেই ডিজিটাল অসহযোগিতা বলে জানিয়ে দিয়েছেন কর্মীরা। আন্দোলনরত কর্মীদের কথা মতো, লোক না থাকার কারণে অনেক সময়েই অফিস টাইমের বাইরেও কাজ করানো হয়। এমনকি তা করার জন্যে নিজস্ব ফোন কিংবা ডেটা, ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হয়। এবার তাঁরা এই সমস্ত কিছু আর ব্যবহার করবেন না বলে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অন্যদিকে একাধিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। কাজের স্বার্থে অনেক সময়েই ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা কর্মীদের নিয়ে হোয়াটস গ্রুপ বানিয়েছেন। সেই গ্রুপে নানা সময় কাজ দেওয়া হয়। এমনকি অফিস টাইমের বাইরেও তা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের। আর এই ঘোষণায় নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আজ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্নামঞ্চে গিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌসাদ। প্রতীকী গণ অনশনের ডাক আজ দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। সেখানে শামিল হতেই আজ সকালেই নৌসাদ পৌঁছে যান বলে জানা গিয়েছে। তিনিও অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে প্রতীকী গণ অনশনে অংশ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে চলা অনশনে আজ আরও এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এর থেকে বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি রাজ্য সরকারি কর্মী হয়ে কখনও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ১০০ দিনের টাকা সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কঠিন অবস্থা। এই অবস্থায় বকেয়া ডিএ পাওয়া ঝুলেই রইল সরকারি কর্মীদের।