রাহুল গান্ধীর বাসভবনে হাজির দিল্লি পুলিশ!
নিউজ ডেস্ক::সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করে শাসকদল বিজেপির তোপের মুখে পড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সংসদে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লির পুলিশ হাজির হয়ে গেল রাহুল গান্ধীর বাসভবনে। ভারত জোড়ো যাত্রায় ভাষণের জেরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে গেল দিল্লি পুলিশ।
ভারত জোড়ো যাত্রায় একটি ভাষণ দেওয়ার সময় যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া মহিলাদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে পৌঁছে গেল দিল্লি পুলিশ। দিল্লির স্পেশাল সিপি আইনশৃঙ্খলার নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশের একটি দল রাহুলের বাসভবনে পৌঁছে যান।
রাহুল গান্ধী নিজের ভাষণে যৌন হেনস্থা বিষয়ক বক্তব্যের পর দিল্লি পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিশে সাড়া দেননি রাহুল গান্ধী। এরপরই রাহুলের বাসভবনে পৌঁছেছে দিল্লি পুলিশের একটি দল। দিল্লি পুলিশের দল এই মর্মে রাহুল গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মহিলাদের যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। তাঁর মন্তব্যের মেপথ্যে কোন প্রমাণ রয়েছে তা জানতে চায় দিল্লি পুলিশ। কেন তিনি এই ধরনের মন্তব্য করলেন, তাঁর মন্তব্যের সমর্থনে কী যুক্তি রয়েছে, তা জানতেই দিল্লি পুলিশের এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা তাই রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে জেরা করছে।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, আইনি অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনেক মহিলা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের সমস্ত বিস্তারিত জানতে চায় পুলিশ। বিশেষ সিপি আইনশৃঙ্খলা সাগরপ্রীত হুডা, ডিসিপি প্রণব তায়ালকে রাহুল গান্ধীর বাসভবনে আসেন। রাহুল গান্ধীকে আগে নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। তাই এবার দিল্লি পুলিশ সটান হাজির বাসভবনে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আমরা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। রাহুল গান্ধী গত ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি ভাষণে মহিলাদের যৌন হয়রানি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন তাঁর সঙ্গে এমন বেশ কিছু মহিলার সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং কথা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী বলেছিলেন এমন কিছু মহিলাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রায়, যাঁরা তাঁকে বলেছিলেন তাঁরা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। দিল্লি পুলিশ এখন সেইসব নির্যাতিত মহিলাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইছেন, যাতে তাঁদের ন্যায়বিচার দেওয়া যেতে পারে।
এই মর্মে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে ১৬ মার্চ একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই নোটিশের কোনো জবাব দেননি। জবাব না পেয়েই দিল্লি পুলিশ সটান বাড়িতে হাজির হয়ে যান। দিল্লি পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলে সুবিচার দিতে চান নির্যাতিতাদের।