২০২৪-এর লোকসভায় তৃণমূলের হাতিয়ার শুধু একটা হ্যান্ডবুক
নিউজ ডেস্ক::বিরোধীরা যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির ইস্যু খাঁড়া করছে, তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হাতিয়ার করছে একটা হ্যান্ডবুককে। শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ বৈঠকে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সেই হ্যান্ডবুক।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জনসংযোগে জোর দিচ্ছে। তারা মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে একটি হ্যান্ডবুক। এই হ্যান্ডবুকে রয়েছে উন্নয়নের খতিয়ান। ৫০ পাতার হ্যান্ডবুকে ১১ বছরের খতিয়ান তুলে ধরেই বাজিমাত করতে চাইছে তৃণমূল।
জেলায় জেলা সমস্ত পদাধিকারীদের হাতে এই হ্যান্ডবুক তুলে দেওয়া হয়েছে। দলের তরফে নির্দেশ ১১ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান হাতে নিয়ে মানুষের দরবারে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। বাংলার ক্ষমতায় আসার পর কোন কোন কাজ তৃণমূল সরকার করেছে, তা রয়েছে ওই হ্যান্ডবুকে।
২০১১ সালে পরিবর্তন আসার পর তৃণমূল সরকার এতদিন যা যা কাজ করেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে ওই হ্যান্ডবুকে। ২০২২ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কী কী করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেই ভোট চাইবেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের সাফ কথা, বিরোধীরা কুৎসা করুক, মানুষকে বলব কাজ দেখে ভোট দিন। দেখুন মানুষের জন্য এই ১১ বছরে আমরা কী কী করেছি। আমাদের রাজ্যে উন্নয়নে সারা দেশকে পথ দেখিয়েছে। আমাদের কর্মসূচি, আমাদের প্রকল্প বিশ্বসেরার তকমা ছিনিয়ে এনেছে। আমরা বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরতে সম্ভবপর হয়েছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, আমরা কাজ করি, ওরা কুৎসা করে। কিন্তু বাংলার মানুষ কখনই ওদের কুৎসাকে আমল দেবেন না। তাঁরা সবার আগে দেখবেন বাংলার সরকার, বাংলার শাসক দল তাঁদের জন্য কী কী করেছে। একইসঙ্গে বাংলার মানুষের কাছে বিশেষ আর্জিও রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্জি, এই খতিয়ান দেখে মিলিয়ে নিন, আপনি সমস্ত পরিষেবা পা্চ্ছে কি না। এই পুস্তিকা সেইজন্যই দেওয়া যাতে কোনো মানুষ বঞ্চিত না হন। যদি কেউ বঞ্চিত রয়ে যান, তাহলে তিনি দুয়ারে সরকারে আসুন আমাদের সরকার পরিষেবার ডালি সাজিয়ে বসে রয়েছেন।
এই পুস্তিকার প্রথম পাতাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, ১১ বছর আগে আমরা যখন রাজ্যের ক্ষমতায় আসি, তখন রাজ্যের বেহাল দশা। আমাদের নিরলস চেষ্টার ফলে বাংলার বুকে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। বাংলা উন্নয়নে সারা দেশে পথ দেখাতে শুরু করেছে। জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজ্যকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পেরেছি আমরা।