মমতা দিদির মোদী বিরোধিতা কতদিন ইঙ্গিত দিলেন অধীর চৌধুরী!
নিউজ ডেস্ক : বিজেপির মোকাবিলায় ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দরকার। কিন্তু দিদি হবেন না। তার পিছনে কারণও রয়েছে। ইডি-সিবিআই যতদিন দিদি কিংবা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ধাওয়া করবে, ততদিন দিদি কংগ্রেসের বিরোধিতা করবেন। এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী এদিন কটাক্ষ করে বলেন, মোদী-দিদি একই। তাঁদের চলার পথের পদ্ধতি একই। তিনি বলেন, এরা বিরোধিতা সহ্য করতে রাজি নয়। যাঁরা বিরোধিতা করবে, তাঁরাই শত্রু। বিরোধী মানেই যে শত্রু নয়, সেই ধারণাটা এঁদের মধ্যে নেই। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রে যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক হতে হয়। কিন্তু এঁরা তা নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আর তিনি যা করতে চলেছেন ( জোট নিয়ে আলোচনা) তা কাঁটালের আমসত্ত্ব ছাড়া আর কিছুই হবে না। এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজু পট্টনায়েকের ছেলে নবীন পট্টনায়েকের রাজনৈতিক জীবনের যে রেকর্ড তাকে কলঙ্কিত করবেন বলে মনে করেন না অধীর।
পুরী গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, পুরী যেতেই পারেন। পুরীতে গিয়ে তিনি নাকি বাঙালিদের জন্য মন্দির করবেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, দিল্লি মন্দিরের দিকে ঝুঁকেছেন তো। পুরীর মন্দির দিঘায় নিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, দিদি-মোদীর মধ্যে মন্দির বানানোর প্রতিযোগিতা চলছে। কে কত বড় হিন্দু তা দেখানোর প্রতিযোগিতা চলছে।
অধীর চৌধুরী বলেন, প্রশ্নের উত্তর দিতে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে যখন বাংলার মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত, সেই সময় দিদি সরকার বিরোধী ক্ষোভ থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে
নতুন পন্থা অবলম্বর করছেন। মার্চের শেষে কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, দিদি যেমন বাংলার মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করছে, কেন্দ্রও ভারতবাসীর সঙ্গে বঞ্চনা করছে।
দুর্নীতি ঠেকাতে পুরসভাগুলিতে চাকরির নয়া নিয়মের কথা ঘোষণা করেছেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেছেন, সব পুরসভায় লুট হয়েছে ওনার নেতৃত্বে। তাই তিনিই সবার আগে বুঝেছেন, বাঁচার রাস্তা কী, তাই ডিএমদের ঘাড়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন তো সিভিক ভলান্টিয়াররা শিক্ষক হবে, তাঁরাই পুরসভার চেয়ারম্যান হবে। বাংলার মানুষ সব ধরে ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।