আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেন SSC চেয়ারম্যান
নিউজ ডেস্ক : আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করতে ভুল হয়েছে আমাদের! আদালত অবমাননার মামলায় হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। নির্দেশ সত্ত্বেও নম্বর বৃদ্ধি করা হয়নি। আর এরপরেই আদালত অবমাননার মামলা হয়। আর সেই মামলাতে তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো আজ শুক্রবার হাজিরা দেন এসএসসি চেয়ারম্যান।
আর সেখানে দাঁড়িয়ে সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। তবে পুরানো মামলা, কোনও পদ্ধতিতে ভুল রয়েছে কিনা তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আর তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
সেদিনও এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আদালতে উপস্থিত থেকে রিপোর্ট আদালতে তুলে দিতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয় ২০১১ সালে। আর সেই পরীক্ষাতে সিলেবাসের বাইরে একাধিক প্রশ্ন আসে বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই মামলা করেন ৮৩ জন। গত বছর জুন মাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেই সময় আদালত ৮৩ জনকে নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু প্রায় বছর কেটে গেলেও ওই ৮৩ জনকে নম্বর দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এরপরেই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন ওই ৮৩।
গত কয়েকদিন আগেই এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। যা দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি মান্থা। একেবারে কড়া ভাষায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভতসনা করেন বিচারপতি। আদালতের সঙ্গে এসএসসি কি খেলছে? সেই প্রশ্নও তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়া পরিকল্পিত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। বিষয়টিতে এতটাই ক্ষুব্ধ হয় আদালত যে সমস্ত নিয়োগ খারিজ করে দেওয়ার কথাও বলেন। তবে একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরা খেলা করেছে বলেও পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
এর এরপরেই আজ শুক্রবার এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কিওল্কাতা হাইকোর্ট। সেই মতো আজ দুপুরে বিচারপতি মান্থার এজলাসে হাজিরা দেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়া পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করতে ভুল হয়েছে আমাদের। এজন্যে আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন সিদ্ধার্থবাবু। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।