“কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না” : ব্রাত্য বসু
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আবারও বামেদের নিশানা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতা পাওয়ার জন্য মরিয়া সিপিএমকে বলি, কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না’। গতকাল থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর সরব হয়েছেন তাঁরা।
বামেদের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেছেন,ক্ষমতা পাওয়ার জন্য মরিয়া সিপিএমকে বলি, কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়বেন না। নিয়োগ দুর্নীতিতে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এক প্রকার তোপ দেগেছেন তিনি। বামেরাও সুপারিশের মাধ্যমেই চাকরি দিতেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে আবারও সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সুজনের স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি কীভাবে হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেছেন, যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মিলি চক্রবর্তী যেহেতু চাকরি করেছেন সেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই তাঁর নিয়োগের তদন্ত করা হবে। কীভাবে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী চাকরি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন,’সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোথায় চাকরি করতেন তা জানতেন না। আমরা তো সুজনবাবুদের মতো নই। ওঁরা অনেক খবর রাখেন, এটা ওঁদের স্বভাব। আমাদের নয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘সুজনের স্ত্রীর কলেজের চাকরিতে কোনও পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।’ তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই তদন্ত হবে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তার পরেই আবার শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বিমান বসুর প্রশংসা শোনার পর আরও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সাগরদিঘির জয়ের পর থেকেই শুভেন্দুর গলায় বিরোধীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল। তারপরে আবারও বিমান বসুর প্রশংসা শুরু নতুন করে তৃণমূলের অন্দরে বাম-রাম যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, নথি অনুযায়ী ২০২১ সালে অবসর নিয়েছেন সুজনের স্ত্রী। অর্থাৎ ১০-১১ বছর মমতা সরকারের বেতন নিয়েছেন তিনি, বর্তমানে পেনশনও পাচ্ছেন। তার মানে তিনি একজন রাজ্য সরকারি কর্মী। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, হঠাৎ একজন সরকারি কর্মীর বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করতে পারেন। তাই কথা বলে তবেই তদন্ত হবে।