তৃণমূলে যোগ দেবেন প্রাক্তন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি!
নিউজ ডেস্ক::বিজেপির জেলা সহ সভাপতি পদ ছেড়েছিলেন তিনদিন আগেই। এবার একটি ছবি তাঁর তৃণমূলে যোগদান জল্পনা উসকে দিল। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হতেই বিজেপিতে ভাঙন জল্পনা তীব্র হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে এক গাদা অভিযোগ করে পদ ছেড়ছিলেন বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শ্যামল রায়। বিজেপির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেই তিনি পদ ছাড়েন। বেনজির অভিযোগে জেলা সহ সভাপতি শ্যামল রায় দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
তারপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি ভাইরাল হল। তা তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা উসকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। বিজেপি থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। তবে এখনই নতুন কোনো দলে তিনি যোগ দিতে চলেছেন, তা তিনি অস্বীকার করেন।
বিজেপি নেতৃত্বের কাছে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, দলে সম্মান বা গুরুত্ব কিছুই পাচ্ছেন না। উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে লিখিতভাবে তিনি জানিয়ে দেন কী কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন। এমনকী তিনি দল ছাড়তে চান বলেও জানিয়ে দেন নেতৃত্বকে। তাঁর তো ছিল জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই।
পদ ও দল ছাড়ার কথা বিজেপি নেতৃত্বকে জানিয়ে বিদ্রোহী শ্যামল রায় বলেন, সিপিএমকে হটাতে বিজেপিতে এসেছিলাম। এখন সেই সিপিএমের নেতারাই জার্সি পাল্টে বিজেপির নেতা হয়ে উঠেছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে আসা, তাঁরাই এখন বিজেপির নেতা। তাঁরা সবাই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রয়েছেন। ফলে এই বিজেপির কোনো আশা নেই।
এরপর বিজেপির তরফে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাঁর বহিষ্কারের পরই তৃণমূলের মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছবি সামন আসে। তা এখন জেলায় নেতাদের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। ফলে তাঁর তৃণমূলে যোগদান যে সময়ের অপেক্ষা তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের একাংশের কাছে।
বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা আগেই স্পষ্ট করে দেন, যেভাবে দল চলছে, যাঁদেরকে নেতার আসনে বসানো হয়েছে, তাঁদের দিয়ে কখনো দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটতে পারে না। যখন বিজেপিতে এসেছিলাম, তখন মাত্র ৪ শতাংশ ভোট ছিল। এখন বিজেপির ভোট ৩৮ শতাংশ। এই অবস্থায় দলের কাছে আমরা ব্রাত্য।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপির সভাপতি অযোগ্য। তিনি দল চালাতে পারছেন না। তাই এই পার্টিতে থাকার প্রয়োজন বোধ করছি না। বিজেপির বিরুদ্ধে দলেরই সহ সভাপতির এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপিতে ভাঙন আসন্ন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে একটি ছবিই।