দুর্নীতিতে ধৃত এসপি সিনহার কথাতেই ওএমআর বিকৃত!
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের জালে আরও এক! আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম নীলাদ্রি দাস। যিনি ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর খোঁজ করছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃত নিলাদ্রীর বিরুদ্ধে একাধিক সুত্র হাতে এসেছে।
বিশেষ করে ওএমআর বিকৃত করার ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একাধিক প্রভাবশালী যোগও নীলাদ্রীর সঙ্গে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার নিজাম প্যালেসে দফায় দফায় নীলাদ্রি দাসকে জেরা করে সিবিআই। দীর্ঘ জেরায় একাধিক প্রশ্ন বারবার এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপরেই নীলাদ্রীকে সিবিআই গ্রেফতার করে বলে জানা যায়। বর্তমানে এনডি ইনফো সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার উচ্চপদে রয়েছেন নীলাদ্রী। যদিও দীর্ঘদিন শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। আর এই সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বিশেষ করে ওএমআর শিটের নম্বরের সঙ্গে সার্ভারের নম্বরের একাধিক ফারাক সামনে এসেছে ইতিমধ্যে। ফলে পরীক্ষার্থীরা যে নাম পায় তা বদলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই সংস্থার অফিস দিল্লি এবইং গাজিয়াবাদে রয়েছে। আর গাজিয়াবাদের সার্ভার ঘেটে তদন্তকারী সংস্থা একাধিক তথ্য পেয়েছে। বিশেষ করে কীভাবে নম্বর বদলে গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের সে বিষয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার। আর এই বিষয়ে নীলাদ্রীকে বারবার জিজ্ঞেস করলেও বারবার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন বলেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এসপি সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ নীলাদ্রীর ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর অঙ্গুলিহেলনেই কি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে? সে প্রশ্নও ধৃত নীলাদ্রী এড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন সম্ভবত এর পিছনে বড় ভূমিকা থাকতে পারে এসপি সিনহার। আর তাই নতুন করে ফের একবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ন্তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক বিষয়ে জেরা করতেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে নিলাদ্রীর মুখোমুখিও এসপি সিনহাকে বসানো হতে পারে বলে খবর।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের আরও ব্যাঙ্ক লকারের খোঁজ পেলেন তদন্তকারী সংস্থা। গত কয়েকদিনে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে। এবার একাধিক লকারের খোঁজ কলকাতার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কে। যা স্ত্রীয়ের সঙ্গে নামে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে একাধিক নথি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।