শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী!
নিউজ ডেস্ক : দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে ২৯ ও ৩০ মার্চ ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে। তিনি বলেন, ৩০ মার্চ সরকারি অফিসে তিনি ছুটি তো দেনইনি, তার ওপরে ধর্নায় বসছেন। সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে নজর ঘোরাতেই তিনি (মমতা) এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী জানানা, ২৯ মার্চ রাজ্য বিজেপির তরফে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নেতাজি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবে বিজেপি। এছাড়া ৩০ মার্চ রামনবমীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিজেপির নেতারা।
জাতীয় রাজধানীতে করা সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু অধিকারী সারা দেশের সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। তা সে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাই হোক কিংবা স্বচ্ছ ভারত মিশন, বুয়া-ভাতিজার সরকার এই কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার জমি দিচে না পারায় কলকাতার কাছে আরেকটি বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাগের সঙ্গে দেখা করার পর করা সাংবাদিক সম্মেলনে শুভএন্দু অধিকারী বলেন, বাংলার পরিস্থিতি জঙ্গলরাজের থেকেও খারাপ। বাংলার অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হচ্ছে। ২০১১-তে ক্ষমতায় আসার সময় যে ঋণ ছিল ২ লক্ষ কোটি, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ কোটি। ক্ষমতায় আসার সময় বাংলায় ১ কোটি বেকার ছিল। এখন তা বেড়ে ২ কোটির বেশি হয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। ক্ষমতা বদলের সময় যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল পাঁচ লক্ষ কুড়ি হাজারের মতো, সেখানে বর্তমানে তা ৯ গুণ বেড়ে ৪৫ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। বাংলার সরকার অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় জিএসটি বাবদ সব টাকা রাজ্য পায়নি বলেও জানান তিনি।
বিরোধী দলনেতা এদিন রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির কথাও তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন এখনও পর্যন্ত সব থেকে বড় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। এর জেরে পুরো শিক্ষা দফতর জেলের ভিতরে চলে গিয়েছে। মনরেগায় যেথানে রাজ্য এতদিন ৩ কোটি মানুষের জন্য টাকা পেয়ে এসেছে, সেখানে আধার কার্ড সংযুক্ত হতেই সংখ্যাটা এককোটি কমে গিয়েছে। ১০ বছর ধরে রাজ্যে টাকা লুট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেন। তিনি দেখা করেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও।