সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর দেখবেন মমতাই!
নিউজ ডেস্ক::বড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর থেকে সরানো হল গুলাম রব্বানিকে। আপাতত গুরুত্বপূর্ণ এই দফতরটি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান পদে রদবদল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনকি একাধিক ক্ষেত্রেও একাধিক রদবদল করা হয়। এমনকি ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরানো হয়।
এবার সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দফতরের মন্ত্রীকেই সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আজ সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর থেকে গুলাম রব্বানিকে সরানো। কিন্তু হঠাত করে কেন তাঁকে সরানো হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। জানা গিয়েছে, আপাতত উদ্যানপালন দফতর সামলাবেন রব্বানিসাহেব। তবে এই দফতরের প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন তাজমুল হোসেন। তাঁকে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই দফতর সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিকমহলের মতে, সাঘরদিঘি উপ নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। আর এরপর থেকেই সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমনকি শাসক তৃণমূলের থেকে নাকি সংখ্যালঘুরা মুখ ঘোরাচ্ছেন। এমন জল্পনাও উঠে আসে। বিশেষ করে নৌসাদকে গ্রেফতার সহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় রীতিমত ভাঙন নাকি স্পষ্ট। এই অবস্থায় যদিও কমিটি গঠন করে সংখ্যালঘুদের মন বোঝার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এরপরেই সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর থেকে গুলাম রব্বানিকে সরানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে নিজের হাতে দফতর রেখে দেওয়াটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর একটা আস্থা রয়েছে মানুষের।
অন্যদিকে অন্য একটি সূত্রের দাবি, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পদে রদবদল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওই পদ থেকে নুরুল ইসলামকে সরিয়ে দেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মোশারফ হোসেনকে। তুলে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি কিনা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের নেতা। আবার গুলাম রব্বানি উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর বিধায়ক। একই জেলা থেকে মন্ত্রী এবং সভাপতি থাকলে একাধিক সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল সুপ্রিমো! আর সেজন্যেই হয়তো এই সিদ্দগান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।