তিলজলা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ময়নাতদন্তে
নিউজ ডেস্ক : তিলজলার ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল কলকাতার একাংশে। ক্ষোভ-বিক্ষোভে আঁচ গিয়ে পড়ল পুলিশের উপর। একের পর এক পুলিশের গাড়ি থেকে শুরু করে ট্রাফিক কিয়স্ক-বুথ জ্বালিয়ে দেওয়া হল। যা সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এরপর থেকে দফায় দফায় অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। আর দীর্ঘ জেরায় সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমনকি দীর্ঘ পুলিশি জেরায় সে নাকি জানিয়েছে, স্ত্রীর গর্ভপাতের পরেই তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয় অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, নতুন করে স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়। আর তা হওয়ার পরে নাকি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত মাথায় করে খুন করা হয় বলে নাকি সে জেরায় জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি মৃতদেহ তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেও জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই তান্ত্রিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যার কথাতে এত ঘটনা তাঁকে এখন হাতে পেতে চাইছে পুলিশ আধিকারিকরা। তবে এই ঘটনার পরে দফায় দফায় যেভাবে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলেছে সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে মৃত ওই কিশোরীর ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে কোনও যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বলে অবশ্য জানা গিয়েছে রিপোর্টে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক রিপোর্টে সামনে এসেছে।
অন্যদিকে তিলজলা কাণ্ডে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুলিশ ‘ব্যর্থ’। তাই কলকাতায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়নের দাবি জানালেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার এই দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
ওই চিঠিতে সৌমিত্র খাঁ লিখেছেন, ‘তিলজলায় সাত বছরের নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশে প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্টের পর তল্লাশি শুরু করে পুলিশ নাবালিকার ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে চায় কলকাতা পুলিশ’ বলেও অভিযোগ করেছেন।